২২শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২রা রজব, ১৪৪৭ হিজরি

আউটসোর্সিং লোকবলে ঘুষ লেনদেন

admin
প্রকাশিত ২৯ জুলাই, মঙ্গলবার, ২০২৫ ২০:১৩:১৬
আউটসোর্সিং লোকবলে ঘুষ লেনদেন

Manual3 Ad Code

আউটসোর্সিং লোকবলে ঘুষ লেনদেন, মেডিসিন ক্রয়ে অনিয়ম দুর্নীতি, পেশাগতদায়িত্বে অবহেলা, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

 

 

 

 

 

Manual7 Ad Code

 

মামলার আসামিরা হলেন, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায় ডা.মাহবুবুর রহমান স্বপন, সুনামগঞ্জ পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান, হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান জুবায়ের আহমদ, হেলথ এডুকেটর নয়ন দাস, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম এবং গাউসিয়া ট্রেডার্স সিকিউরিটি ক্লিনিং এন্ড লজিস্টিক সার্ভিসের এর এমডি এ কে আজাদ।

সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এই মামলা দায়ের করেন মো. তৌহিদ মিয়া নামের হাসপাতালে সাবেক এক ওয়ার্ডবয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এডিশনাল পিপি এডভোকেট আমিরুল হক জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় প্রভাবশালী মিলে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে ৬৪ জন আউটসোর্সিং লোকবল নিয়োগ দেন। এতে বঞ্চিত হন হাসপাতালে দীর্ঘদিনের কর্মরত দক্ষ কর্মচারীরা।

এছাড়াও হাসপাতালের কতিপয় কর্মচারির যোগসাজশে মেডিসিন ক্রয় অনিয়ম দুর্নীতি, পেশাগত দায়িত্ব পালনে হয়রানিসহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের দৃষ্টিগোচর করে সোমবার স্পেশাল জজ আদালত হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।

দীর্ঘ শুনানী শেষে অভিযোগটি আমালে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রাখেন বিচারক।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আমিরুল হক বলেন, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের দুর্নীতির ফিরিস্তি সবাই’র জানা। কিছুদিন পূর্বে দুদক এসে দুর্নীতির অনেক সত্যতা পেয়েছে। এতো কিছুর পরেও তত্ত্বাবধায়ক অনিয়ম দুর্নীতিতে লিপ্ত রয়েছেন। আমিসহ অনেক সিনিয়র আইনজীবী বিষয়টি আদালতের অদৃষ্টিগোচর করেছি। আদালত আমাদের কথা মনোযোগসহকারে শুনেছেন। আশা করি ভালো কিছু হবে।

 

 

Manual1 Ad Code

 

 

 

Manual7 Ad Code

জেলার প্রধান চিকিৎসালয়ের দুর্নীতি প্রতিরোধে দায়েরকৃত মামলায় ন্যায় বিচার প্রত্যাশী ভুক্তভোগী তৌহিদ মিয়া বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আউটসোসিং প্রক্রিয়ায় হাসপাতালে কর্মরত ছিলাম। হাসপাতালে থাকায় তত্ত্বাবধায়কের অনেক দুনীতি অনিয়ম অবলোকন করেছি। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আউটসোসিং নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। সিণ্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি জনপ্রতি ৮০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। আমাদের কাছে তার প্রমান রয়েছে। যারা তার অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তিনি তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছেন। হাসপাতালের কিছু কর্মচারীর যোগসাজশে তত্ত্বাবধায়ক বিভিন্ন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, মেডিসিন ক্রয়ে দুর্নীতি করে সরকারের কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আমি আমার দায়বদ্ধতা থেকে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আশা করছি আমি ন্যায় বিচার পাবো।

Manual6 Ad Code