১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আদালতের চালকের বিরুদ্ধে ৩৫ জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

admin
প্রকাশিত ০৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, ২০২৫ ১১:৫২:০১
আদালতের চালকের বিরুদ্ধে ৩৫ জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

Manual5 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | কিশোরগঞ্জ | ৯ অক্টোবর ২০২৫

Manual2 Ad Code

কিশোরগঞ্জ জেলা জজকোর্টের চালক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে অন্তত ৩৫ জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এসব মামলায় দেড় ডজনের বেশি মানুষকে কারাভোগও করতে হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। মামলাগুলোর বেশির ভাগের বাদী হয়েছেন সাইফুলের স্ত্রী, বোন ও শ্যালিকা।

Manual7 Ad Code

🔹 মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

১৯৯৬ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়া সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০০ সাল থেকে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে তিনি নানা ব্যক্তি ও আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আসছেন। তাঁর সহোদর সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে করেছেন ৯টি এবং সৎ-ভাগনে খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা। বেশির ভাগ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁরা খালাস পেয়েছেন।

ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলাম বলেন, “বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়ে আমার জমি দখল করেছে সাইফুল।” অভিযোগ করে তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ইউএনও’র কাছে লিখিত আবেদনও করেছেন।

🔹 পরিবারের সদস্যরাও রেহাই পাননি

সাইফুলের সৎ-বোন সালেহা বেগম বলেন, “একটি মামলা শেষ হতে না হতেই শুরু হয় আরেকটি মামলা। ছেলে নিয়ে প্রতিদিন আদালতে ঘুরতে হয়।”

সাইফুলের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, ভাতিজা, তিন ভাগনে, সৎ-বোনের স্বামী, এমনকি প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা করেছেন তিনি। তাঁদের মধ্যে আকলিমা আক্তার নামের এক নারী জানান, “তাঁর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায় আমাকেও মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।”

Manual1 Ad Code

🔹 স্থানীয়দের ভয় ও ক্ষোভ

মুসলিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, “২৫ বছর ধরে সাইফুল মানুষকে মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করছে। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা হয়।”

Manual2 Ad Code

🔹 সাইফুল ইসলামের দাবি

অভিযোগ অস্বীকার করে সাইফুল ইসলাম বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি কাজের চাপে বাড়িতে কম যাই। এই সময়ের মধ্যে কাউকে কিছু করা সম্ভব নয়।”

🔹 আইনজীবী সমিতির প্রতিক্রিয়া

কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন বলেন, “কেউ যদি মিথ্যা মামলা করে, তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায়। প্রমাণ পেলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।”