২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আদালতে রুমন হত্যায় দোষ স্বীকারকরে প্রধান আসামি আব্বাসের জবানবন্দী

admin
প্রকাশিত ২৬ জুলাই, শনিবার, ২০২৫ ১৩:৪৭:৪১
আদালতে  রুমন হত্যায় দোষ    স্বীকারকরে প্রধান আসামি  আব্বাসের  জবানবন্দী

Manual7 Ad Code

“”মারামারির একপর্যায়ে রোহানের হাতে থাকা চাকুর এলোপাতাড়ি গাই “” এরপর মাটিতে লুটেপরে রুমন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটে আলোচিত রুমন হত্যা মামলায়
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে প্রধান আসামি আব্বাস(৫৫) । সে সিলেট নগরীর তোপখানার আফজাল মিয়ার কলোনির ভাড়াটিয়া। মৃত মনু মিয়ার পুত্র।

 

 

 

Manual1 Ad Code

 

আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে ৩ দিনের রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ,শেষে ২৫ জুলাই শুক্রবার দুপুরে বন্ধের দিন
স্পেশাল দায়িত্বে থাকা সিলেট মেট্রোপলিটন ৩ নং আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবার আদালতে হাজির করলে তিনি আসামির জবান বন্দী গ্রহণ করেন।
এ সময় রুমন হত্যা মামলার ১ নং আসামি ঘটনার মূলহোতা এবং হুকুম দাতা আব্বাস (৫৫) তার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

Manual7 Ad Code

 

 

আদালতের স্বীকারোক্তিতে আব্বাস বলে সে নিজেই মারামারি করতে হোটেলে লোকজন নিয়ে গেছে। মারামারির একপর্যায়ে তার ছেলে রোহানের হাতে থাকা চাকু দিয়ে এলোপাথারি গাই দে হোটেল কর্মচারীর রুমনকে। এতে সে মাটিতে লুটেপরে । তখন তারা পালিয়ে যায়।
এমনভাবে জবানবন্দি দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শিপলু চৌধুরী ছাড়াও আদালত সূত্র, পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তা ও বাদীপক্ষ।

 

 

 

 

Manual4 Ad Code

রিমান্ডে শেষে সিলেট নগরীর তোপখানার বাসিন্দা মৃত মনু মিয়ার পুত্র আব্বাস মিয়া( ৫৫)কে সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারে ফেরত দেয়া হয়েছে শুক্রবার বিকেলে বলে নিশ্চিত করেন সিলেটের ডিআইজি প্রিজন মো: ছগির মিয়া।

গত সোমবার সিলেট মেট্রোপলিটন আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালত এর বিচারক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মনজুর করেন। রিমান্ডের শেষ দিন ছিল গতকাল ২৫ জুলাই শুক্রবার।
এ কারণেই বন্ধের দিন স্পেশাল আদালতে হাজির করা হয় রুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্বাস কে।

Manual5 Ad Code

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরীর আলোচিত কাজির বাজারে চা দিতে দেরি করায় হোটেল কর্মচারী রুমন( ২২) খুন করে আব্বাস গংরা।
খুনের হুকুম দাতা মামলার প্রধান আসামী পুলিশের হাতে আটকের পর আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার না করায় কারাগারে থাকা আব্বাস (৫৫ ) এর রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শিপলু চৌধুরী।
৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলেও আদালত মঞ্জুর করেন ৩ দিনের রিমান্ড।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শিপলু চৌধুরী জানান, রুমন হত্যা মামলার আসামি আব্বাসকে ৩ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার বিজ্ঞ আদালতে হাজির করলে ম্যাজিস্ট্রেট এর সামনে ঘটনার স্বীকারোক্তি দেয়।। অন্য আসামীদের গ্রেফতার করতে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

১৪ জুলাই আটকের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় এ মামলার প্রধান আসামি আব্বাস( ৫৫) কে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি জিয়াউল হক জানান, রুমন হত্যা মামলাটি আমরা আন্তরিকভাবে দেখছি। সে হোটেল কর্মচারী ছিলো।একটি গরিব পরিবারের সন্তান। মামলায় যাতে বাদী পক্ষ তার ন্যায্য বিচার পায় । সে অনুযায়ী পুলিশ আইনি কাজগুলো করছে।

আসামি ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবার আদালতে বলে নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের
এডিসি (মিডিয়া) মোঃ সাইফুল ইসলাম । তবে ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
এদিকে রুমন হত্যার পর থেকে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন ছাড়াও মোগলাবাজার ওজালালপুর এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ একের পর এক প্রতিবাদ অভিক্ষেপ করে যাচ্ছেন । তারা রুমান হত্যার ঘটনায় জড়িত সকাল আসামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
জালালপুর এলাকার বাসিন্দা আজাদ মিয়া জানান, প্রকাশ্য দিবালোকে খুনের পর যদি শুধুমাত্র গরিব হওয়ার কারণে ন্যায়বিচার না পায় আমরা রাজপথে আসবো ন্যায় বিচারের জন্য।
মোগলা বাজার বাসিন্দা সৈয়দা হাসিনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভুনিদাতা সাংবাদিক নেতা এমদাদুর রহমান চৌধুরীর জিয়া জানান, অসহায় পরিবারের মামলা নিয়ে ছয় নয় করলে আল্লাহ বরদাস্ত করবেন না। আমরাও ডায়বদ্ধতা থেকে চুপ মেরে বসে থাকবো না। তবে প্রশাসন মামলার যথেষ্ট অগ্রগতি করেছে এর জন্য ধন্যবাদ। তবে তদন্ত কাজ শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে হবে দোষীদের বিরুদ্ধে আদালতে আমরা এর অপেক্ষায় থাকবো।