আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত কয়েক ডজন সেনা নিহত হয়েছেন। ২০২১ সালে তালেবান কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর এটিই দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও রক্তক্ষয়ী সংঘাত।
গত শনিবার গভীর রাতে আফগান তালেবান বাহিনী সীমান্তজুড়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন সামরিক চৌকিতে আকস্মিক হামলা চালায়। পাকিস্তানও পাল্টা গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলা চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলে রোববার ভোর পর্যন্ত। পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, তাদের ২৩ জন সেনা নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, তালেবান জানিয়েছে তাদের ৯ যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। তবে উভয় পক্ষই একে অপরের ওপর বেশি ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ তুলেছে।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে পাকিস্তান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালায়। তাদের টার্গেট ছিল পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি)-এর প্রধান। তবে তিনি নিহত হয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। আফগান তালেবান জানায়, পাকিস্তানের এই বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই তারা সীমান্তে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে।
২০০৭ সালে গঠিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) মূলত পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উগ্রপন্থী জঙ্গিদের নিয়ে গঠিত। আল-কায়েদার আদর্শে অনুপ্রাণিত এই সংগঠনটি অতীতে বহু ভয়াবহ হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল, যার মধ্যে ২০১৪ সালের পেশোয়ার স্কুল হামলায় ১৩০ জনেরও বেশি শিশু নিহত হয়।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য সফরে আছেন, সীমান্ত সংঘাতের বিষয়ে অবহিত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, “শুনেছি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে এখন যুদ্ধ চলছে। আমি ফিরে এসে দেখব কী হচ্ছে। জানেনই তো, আমি আরেকটা যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।”