সিলেট ৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২৫
সম্প্রতি সময়ের আলোচিত নাম মাহতাবুর রহমান উরফে নাসির শেঠ। নিজ এলাকায় তিনি নাসির শেঠ হিসাবে পরিচিত।
তবে বিভিন্ন বিভিন্ন ভাবে এসেছেন আলোচনায় মাহতাবুর রহমান।
বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের নাটেশ্বর নোয়াগ্রামে। পিতার নাম মৃত মৌলানা কাজী আব্দুল হক। জন্ম ১৯৫৮ সালের ৭ই মার্চ। মাহতাবুর রহমানের রয়েছে তিনটি পাসপোর্ট। যেগুলোর নাম্বার যথাক্রমে (১১২৩৩৬৭৭৩৬, ৪২২০৪৬২৮৩ ও ৫০৫৭০২৫৪৫)। বর্তমানে তিনি পূর্বেকার কাজী ভবন ও বর্তমান কাজি প্যালেস পূরবী আ/এ, ইসলামপুর, শাহপরাণ (রহ:)এসএমপি সিলেটের বাসিন্ধা। তার কোম্পানী আল হারামাইন পারফিউমার এলএলসি, পিও বক্স-১৮৮৫। তার বাবা ছিলেন আল হারামাইন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। মাহতাবুর রহমান আল্ধসঢ়; হারামাইন গ্রুপ ও এনআরবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ডজন খানেক প্রতিষ্টানের মালিক।
মাহতাবুর রহমান নাসির প্রথম আলোচনায় আসেন সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের নোয়াগ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণের মধ্য দিয়ে। প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অজোপাড়াগাঁয়ে তিনি গড়ে তোলেন প্রাসাদসম অট্টালিকা। পরে শহরের মেজরটিলার ইসলামপুরে নির্মাণ করেন আরেক অত্যাধুনিক প্রাসাদসম ‘কাজী প্যালেস’। এই বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৫০০ কোটি টাকা। তবে তিনি বাংলাদেশে পারফিউম ব্যবসার আড়ালে সবচেয়ে বড় হুন্ডি ব্যবসায়ী বলে এমনটা প্রমাণও পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিটি টার্মেই তিনি নিয়েছেন বিশেষ সুবিধা। সব মিলিয়ে সরকারী মন্ত্রী আমলাদের খুশি করে পরপর ১১ বার হয়েছিলেন সিআইপি। আওয়ামী সরকারের তহবিলের অন্যতম যোগানদাতা তিনি। তার বিরুদ্ধে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠার পর দেশে নতুন করে এসেছেন আলোচনায়। ব্যবসা, চিকিৎসা ও মানবসেবার আড়ালে দেশবিরোধী ও অবৈধ কাজে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।
বিগত সরকারের আমলে ২০২০ সালে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বিমান কেলেঙ্কারি তদন্তে নেমেছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ (বিএফআইইউ) আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। সেই সময় কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান নাসিরসহ তার পরিবারের ছয় সদস্য ব্যাংক হিসাব তলব করে তদন্ত শুরু করলে পরে তা অদৃশ্য কারনে বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের সিইও তাজবিরুল আহমেদ চৌধুরী ব্যাংক হিসাব তলব ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিষয়ে জানিয়ে ছিলেন, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পতন হয়েছে মাহতাবুর রহমান ও তার সহযোগীদের হাত রয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিটি টার্মেই তিনি নিয়েছেন বিশেষ সুযোগ সুবিধা। ফলে ১১বার ছিলেন সিআইপি। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান নাসির গোল্ডেন ভিসার আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বসবাস করেন। তার পরিচিতি গত আওয়ামী সরকারের আমলে হলেও উত্থান সেই এরশাদের সামরিক শাসনামলে। এরশাদের সঙ্গে ছিল তার বেশ ঘনিষ্ঠতা। তিনি এরশাদ সরকারকে সুবিধা দিয়ে নিজে সুবিধা নিয়েছেন। বিএনপি শাসনামলেও তিনি সুবিধা আদায় করতে পিছিয়ে থাকেননি। সবশেষ বিএনপি শাসনামলে তিনি দলটির এক নীতিনির্ধারকের ব্যাবসায়িক পার্টনার ছিলেন বলে তখন শোনা গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি নিজের খোলাস পাল্টাতে সময় নেননি। হয়ে যান পুরোদস্তুর আওয়ামী লীগার। দলীয় পরিচয়ে যিনিই তার কাছ থেকে সুবিধা নিতে চেয়েছেন, দিয়েছেন। বিনিময়ে তার ব্যবসাকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে গেছেন। বাগিয়ে নিয়েছেন ব্যাংক।
যদিও সম্প্রতি ডুবাইতে সাংবাদিক ডেকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ গণমাধ্যমে মিথ্যা বলে দাবি করছেন মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান নাসির। এনবিআরের অনুসন্ধানকারীদের ভাষ্যমতে, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ছোট এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্সের অর্থ কিনে নেয় মাহতাবুর রহমানের প্রতিষ্ঠান। সেসব অর্থ বাংলাদেশে না পাঠিয়ে বাংলাদেশি অর্থ পাচারকারীদের বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এভাবেই বিশ্বের ৮৬টি দেশে তার ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হয়েছে।
নাসির বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনামলে এমপি-মন্ত্রীরা দুবাই যাওয়ার আগে আমাকে খবর দিতেন। তারা কেউ দুবাই গেলেই বিমানবন্দরে গাড়ি পাঠাতে হতো। দূতাবাস থেকেও আমাকে বলা হতো, অমুক মন্ত্রী এসেছেন, কী মেহমানদারি করতে হবে, কোথায় রাখতে হবে। ওই সময় মেহমানদারি না করা ছিল অপরাধ। এখন দেখছি মেহমানদারি করাটাই অপরাধ হয়ে গেছে। এর আগে কেলেঙ্কারির কারণে দেশের পুঁজিবাজারে আলোচিত কোম্পানিগুলোর একটি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বাংলাদেশ লিমিটেড। চার বছর আগে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়া কোম্পানিটির শেয়ার কিনে নিঃস্ব হয়েছে সাধারণ মানুষ। এবার ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কেলেঙ্কারি তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক),বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ (বিএফআইইউ) আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে গত বছরের ৫ আগস্টের পর সেই মাসের শেষ দিকে পতিত সরকারের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সিলেটে তার বিলাসবহুল বাড়ি কাজী প্যালেসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দেশে পারফিউম ব্যবসার আড়ালে সবচেয়ে বড় হুন্ডি তৎপরতার প্রমাণ পায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সংস্থাটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) অনুসন্ধান চালিয়ে বিশ্বের ৮৬ টি দেশে হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের সত্যতা পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। সিলেটে মাহতাবুর রহমানের প্রাসাদবাড়িতে দুই দফায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। বাড়ি থেকে ১০৪টি সম্পত্তির দলিলসহ অন্যান্য নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি সিআইসির পক্ষ থেকে মাহতাবুর রহমান নাসির ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করা হয়েছে। ব্যাংক হিসাবে জব্দের তালিকায় আছেন মাহতাবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ এমাদুর রহমান, ভাই মোহাম্মদ ওলিউর রহমান, ভাতিজা মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান ও মোহাম্মদ এহসানুর রহমান এবং আল হারামাইন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সাব্বির আহমেদ।
সংস্থাটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) অনুসন্ধান চালিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য পেয়েছে। হুন্ডি কারবারে অভিযুক্ত কোম্পানিটির নাম আল হারামাইন পারফিউমস। কোম্পানির মালিক মাহতাবুর রহমান নাসির। এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের তথ্য অনুযায়ী, মাহতাবুর রহমান নাসিরের ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক বর্তমানে বিশ্বের ৮৬টি দেশে বিস্তৃত। বাংলাদেশ ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুম রয়েছে। অন্যান্য দেশে তার দৃশ্যমান ব্যবসা মূলত আমদানি-রপ্তানির।
যদিও অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, মাহতাবুর রহমান নাসিরের পুরো ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কই হুন্ডি তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। পারফিউম বা আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার আড়ালে তার প্রধান ব্যবসা মূলত এক দেশের অর্থ অন্য দেশে পাচার করা। এ ব্যবসায়ীর সম্পদ ও অর্থ পাচারের তথ্য অনুসন্ধানে সম্প্রতি সিআইসির একটি দল ইউএই যায়। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে থাকা মাহতাবুর রহমানের সম্পদ ও অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। পাশাপাশি অন্য যেসব দেশে তার সম্পদ রয়েছে, সেগুলোর তথ্য চেয়েও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দেশে থাকা মাহতাবুর রহমানের সম্পদের বিষয়েও অনুসন্ধান চালিয়েছে সিআইসি। তদন্ত কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুম গুলো মূলত হুন্ডির টাকা লেনদেনে ব্যবহৃত হয়। ঢাকার বসুন্ধরা সিটির শোরুমে কেউ টাকা জমা দিলে দুবাইয়ের সিটি সেন্টারে সে টাকা দিরহাম আকারে পরিশোধ করা হয়। ছোট কোনো অঙ্কের অর্থ এসব শোরুমে লেনদেন হয় না। বরং বড় ব্যবসায়ী বা টাকা পাচারকারীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকার অর্থ গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে শোরুম গুলোয় কেবল বিশেষ একটি খাতায় হিসাব রাখা হয়। হুন্ডি কারবারের পাশাপাশি মাহতাবুর রহমানের স্বর্ণ চোরাচালানের বিস্তৃত নেটওয়ার্কও রয়েছে বলে আমরা তথ্য পায় সংস্থাটি। ঢাকায় ও দুবাইয়ে আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুমের আশপাশে অবস্থান নিয়ে দেখেছি, ৩-৪ ঘণ্টায়ও সেখানে পারফিউম কিনতে কোনো গ্রাহক আসেনি।
এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ছাড়াও মাহতাবুর রহমান নাসিরের বিরুদ্ধে বিস্তৃত হুন্ডি নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও প্রভাবশালীদের অর্থ পাচারে সহায়তাসহ নানা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ (বিএফআইইউ) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সুশাসনের ঘাটতি ও অপরাধের প্রমাণ পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ১২ মার্চ এনআরবি ব্যাংক পিএলসির পর্ষদ ভেঙ্গে দেয়া হয়। ২০১৬ সাল থেকে টানা নয় বছরের বেশি সময় ধরে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন মাহতাবুর রহমান নাসির। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব বলেন, ‘মাহতাবুর রহমান নাসিরকে নিয়ে আমাদের তদন্ত কার্যক্রমের ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। যেসব নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আর যেসব তথ্য আমরা পেয়েছি, সেগুলোরও সত্যতা নিরূপণের কাজ চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হলে তবেই এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে।
আল হারামাইন পারফিউমসের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, দেশে কোম্পানিটির শোরুম রয়েছে ১৫টির বেশি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত সম্ভার, গুলশানের পিংক সিটি ও সেন্টার পয়েন্ট এবং বায়তুল মোকাররম মার্কেটে কোম্পানিটির শোরুম রয়েছে। চট্টগ্রামে চারটিসহ আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুম রয়েছে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, বগুড়া, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর শহরেও। প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এখনো কোম্পানিটির সবকটি শোরুমই লোকসানে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ২০১৭ সাল থেকে আল হারামাইন গ্রুপ বাংলাদেশের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তার (সিএফও) দায়িত্বে আছেন পরিমল চন্দ্র ধর। তিনি বলেন, ‘এতগুলো শোরুম থাকলেও বাংলাদেশে আমরা কখনো মুনাফা করতে পারিনি। এখানে পারফিউমের ওপর ১৫০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এত ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে মুনাফা করা সম্ভব নয়। আগে যা ব্যবসা ছিল, গত কয়েক মাসে সেটিও শেষ হয়ে গেছে। আগের তুলনায় বিক্রি অনেক কমে গেছে। সিলেটে ‘কাজী প্যালেস’ নামে রাজকীয় বাড়িতে ভিড় জমাতেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি আমলা ও অলিগার্করা। আর প্রভাবশালী এসব ব্যক্তিরা দুবাই ভ্রমণে গেলে থাকতেন মাহতাবুর রহমানের অতিথি হয়ে। তাদের থাকা, খাওয়া, ঘোরাঘুরিসহ চিত্তবিনোদনের আয়োজন করতেন তিনি। সিলেটের ইসলামপুর এলাকায় নির্মাণ করা বাড়িটি নিয়েও নতুন করে তদন্ত করছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মধ্যে দুই দফায় বাড়িটি পরিদর্শন করেছে সংস্থাটি।
মাহতাবুর রহমানের অপরাধ তদন্তের দায়িত্বে থাকা অন্য একটি গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেসব রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ী বাড়ি-গাড়ি, হোটেল, মার্কেটসহ বিভিন্ন সম্পদ কিনেছেন, তার প্রায় সবারই পথ প্রদর্শক ছিলেন মাহতাবুর রহমান। দেশ থেকে টাকা পাচারে সহায়তা করা, সে দেশে সম্পদ কিনতে সহযোগিতা করা, আমিরাতের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করে দেয়া থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপেই এ ব্যবসায়ীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। এসব কাজের বিনিময়ে তিনি কমিশন পান, সেটিই তার আয়ের প্রধান উৎস। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ই আমরা তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছিলাম। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির হস্তক্ষেপে সেসব তদন্ত শেষ করা যায়নি।
সূত্র – দৈনিক সবুজ বাংলা
প্রধান উপদেষ্টা: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক,
উপদেষ্টা : খান সেলিম রহমান, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা, ঢাকা ।
উপদেষ্টা : মোহাম্মদ হানিফ,
প্রকাশক : মোঃ ফয়ছল কাদির,
সম্পাদক : মাছুম কাদির,
সিলেট অফিস : রংমহল টাওয়ার(৪র্থ তলা) বন্দরবাজার সিলেট,৩১০০। মোবাইল নং-০১৭১৮৬২০২৯১,
ই-মেইল : Foysolkadir503@gmail.com,
Design and developed by DHAKA-HOST-BD