
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আশ্বাস দেন। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি মহা আয়োজন। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম, সেই ব্যক্তিকেই আমরা বেছে নেব। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।”
তিনি আরও জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের বাছাই করে নির্বাচনের আগে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিএনপি নেতারা বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান যেন প্রশাসনে রদবদলের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় থাকে এবং বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা—বিশেষ করে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন এমন কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব না দেওয়া হয়।
পুলিশের নিয়োগ ও বদলিপ্রক্রিয়া নিয়েও কিছু পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা।
এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ত করা এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ সফলভাবে আয়োজন করার জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানানো হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব ঘটনার পেছনে অন্তর্ঘাতমূলক কোনো কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।