
ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রকাশ্যে একই অবস্থানে থাকলেও শান্তি আলোচনা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। আলাস্কা সম্মেলনের পর টানা তিন সপ্তাহ কোনো অগ্রগতি হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার এক ফোনকলে ইউরোপীয় নেতাদের আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান ট্রাম্প। তাঁর মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার পেছনে রাশিয়ার তুলনায় ইউরোপের দায় বেশি। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প ইউরোপকে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করতে বলেছেন, কারণ এটাই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রধান অর্থের উৎস। শুধু গত এক বছরেই ইউরোপে তেল রপ্তানি করে রাশিয়া আয় করেছে প্রায় ১.১ বিলিয়ন ইউরো।
একই সময়ে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, রাশিয়াকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছে চীন। এ কারণে ইউরোপকে চীনের ওপরও চাপ প্রয়োগের পরামর্শ দেন তিনি। তবে নিজে চীনের বিরুদ্ধে নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপে এগোচ্ছেন না। কারণ, উচ্চ শুল্কের বাণিজ্যযুদ্ধের পর ওয়াশিংটন-বেইজিং সম্পর্ক স্থবির হয়ে আছে।
🇺🇸 ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “পুতিন দু’বার আলোচনার সুযোগ এড়িয়ে গেছেন। তিনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা তাঁর ব্যাপার। তবে সিদ্ধান্ত যদি আমাদের পছন্দ না হয়, তখন দেখা যাবে কী ঘটে।”
🇺🇦 অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। জেলেনস্কি জানান, রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জোরদার ও যুদ্ধের অর্থ জোগানদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
ইউরোপ ইতিমধ্যেই রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পদক্ষেপ নিয়েছে। একসময় ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী ছিল রাশিয়া, কিন্তু এখন অনেক দেশ এ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের অবস্থান একদিকে ইউরোপকে চাপে ফেলছে, অন্যদিকে চীন ও ভারতের মতো শক্তির সঙ্গে তাঁর কূটনৈতিক টানাপোড়েনকেও আরও জটিল করে তুলছে।