
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অতীত জোট–রাজনীতি ও বর্তমান অবস্থানকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, “আগে এক প্লেটে বসে খেত, এখন প্লেট ভাগ হলেও তরকারি এক পাতিলেই আছে।”
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পরিবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় যুবশক্তির প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব বক্তব্য দেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করেন, ২০০১–২০০৬ মেয়াদে বিএনপি–জামায়াত জোট সব সেক্টরে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। তাঁর ভাষায়, নতুন আন্দোলন বা প্ল্যাটফর্ম পেলেও দুই দল এখনো একই রাজনৈতিক ধারার অংশ।
তিনি বলেন, “আগে এক প্লেটে বসে খাইত, এখন প্লেট ভাগ হয়েছে। কিন্তু তরকারি এক পাতিলে। জামায়াতও দুর্নীতির জন্য সমান দোষী।”
গণ–অভ্যুত্থানের (৫ আগস্ট) পর ক্যান্টনমেন্টে বৈঠক ও জাতীয় সরকার গঠনের আলোচনা হয়েছিল বলে দাবি করেন নাসীরুদ্দীন। তাঁর মতে, বিএনপির এক অংশের “ভুল সিদ্ধান্তে” সেই সুযোগ নষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, “যদি জাতীয় সরকার হতো, বিপ্লবী সংবিধান হতে পারত। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিও হয়তো এ রকম থাকত না।”
জামায়াতে ইসলামীর অন্তরালে আওয়ামী লীগের প্রতি ‘প্রীতি’ আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু প্রতিনিধিদেরও কটাক্ষ করেন।
তাঁর অভিযোগ, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভোট নিয়ে এখন হেলিকপ্টারে ঘুরে জামায়াতের প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। এমন প্রতিনিধিকে আমরা দেখতে চাইনি।”
নাসীরুদ্দীনের মতে, গত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিএনপির রাজনৈতিক ব্যর্থতাই অনেকাংশে দায়ী।
লন্ডনকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, “ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয় অনলাইনে। আমরা কাউকে ভয় পাই না।”
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ২০২৬ সালের নির্বাচনকে সংস্কারের নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে সেটি এখন শোডাউনে পরিণত হয়েছে। তিনি ইঙ্গিত করে বলেন, বিএনপি ও জামায়াত ক্ষমতা ভাগাভাগি ও অতীত অভিজ্ঞতার অর্ধসত্য তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
আখতার জানান, এই নির্বাচন ক্ষমতা পরিবর্তনের পাশাপাশি এক ধরনের গণভোট, যার মাধ্যমে সংস্কার কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নির্ধারিত হবে।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।