
বিশ্বের শীর্ষ আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা এমিরেটস তাদের বহরের সব বিমানে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে যাত্রীরা উড়োজাহাজে আকাশপথে ভ্রমণের সময়ই বিনামূল্যে ভূমির মতো দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুবাই এয়ারশোর প্রথম দিনেই এ উদ্যোগের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আমিরাতভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানায়, এই মাস থেকেই এমিরেটস তাদের ওয়াইড–বডি বিমানে স্টারলিংক প্রযুক্তি স্থাপন শুরু করবে। ২৩ নভেম্বর প্রথম একটি বোয়িং ৭৭৭ ফ্লাইটে সেবা চালু হবে। ধাপে ধাপে ২০২৭ সালের মধ্যভাগে মোট ২৩২টি বোয়িং ও এয়ারবাস বিমানে স্টারলিংক স্থাপন সম্পন্ন হবে। মাসে প্রায় ১৪টি বিমান এই সেবার আওতায় আসবে।
এ ছাড়া ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বের প্রথম স্টারলিংক–সজ্জিত এয়ারবাস এ৩৮০ যাত্রী পরিবহনে যুক্ত হবে।
এমিরেটসের প্রেসিডেন্ট টিম ক্লার্ক বলেন,
‘আমরা বিশ্বের দ্রুততম ইন–ফ্লাইট ওয়াই–ফাই নিয়ে আসছি। আকাশেই যাত্রীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ, যোগাযোগ ও অনলাইন কার্যক্রম করতে পারবেন।’
নিরবচ্ছিন্ন মান বজায় রাখতে এমিরেটস ৫ বিলিয়ন ডলারের পুনর্গঠন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পুরোনো বোয়িং ও এয়ারবাস বিমানে আধুনিক সংযোগ সুবিধা ও অভ্যন্তরীণ উন্নয়নও করা হবে। ক্লার্ক বলেন—
‘আমরা চাই প্রতিটি যাত্রী, প্রতিটি রুটে সমমানের অভিজ্ঞতা পান।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত এখনো স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইট সেবার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়নি। তবে এমিরেটস জানিয়েছে, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রীরা বিনামূল্যের এই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
স্টারলিংক ইতিমধ্যেই কাতার, ওমান, বাহরাইন, জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশে চালু হয়েছে। লেবাননেও অনুমোদন পেয়েছে।
কাতার এয়ারওয়েজ ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাদের বোয়িং ৭৭৭ বহরে স্টারলিংক সেবা চালু করে প্রথম নজর কাড়ে। এবার এমিরেটস যুক্ত হওয়ায় আকাশপথে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার আরও জনপ্রিয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্টারলিংক যুক্ত হওয়ার ফলে ফ্লাইট চলাকালে যাত্রীরা—
ভিডিও স্ট্রিমিং
অনলাইন গেমিং
ভয়েস কল
অফিসের কাজ
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার
সবই এক ক্লিকেই করতে পারবেন। এ জন্য কোনো স্কাইওয়ার্ডস সদস্যপদ লাগবে না।
এমিরেটস সম্প্রতি জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তাদের কর–পরবর্তী মুনাফা ১৩% বেড়ে ৯.৯ বিলিয়ন দিরহামে পৌঁছেছে। পুরো বছরজুড়েই ভ্রমণ চাহিদা চাঙা থাকবে বলে সংস্থাটির আশা।