
ক্রীড়া প্রতিবেদক:
এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই দুঃসংবাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। ব্যাটিং অনুশীলনের সময় বাঁ পাশের পেটের মাংসপেশিতে চোট পান লিটন দাস। সেই চোট কাটিয়ে এখনো পুরোপুরি অনুশীলনে ফিরতে পারেননি জাতীয় দলের এই ব্যাটার। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও তাঁর খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ–আফগানিস্তান সিরিজের ছয় ম্যাচের একটিতেও খেলতে পারেননি লিটন। এখন সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
১৮ অক্টোবর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ, এরপর ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী জানিয়েছেন,
“লিটনের মাংসপেশির চোট মূলত সেরে গেছে। আজ বা কাল এমআরআই করবেন—এটা নিয়মিত প্রক্রিয়া, পুনর্বাসনে কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা বোঝার জন্য। কাল হয়তো নির্বাচকদের কাছে তার বিষয়ে প্রতিবেদন দেব।”
তিনি আরও জানান, লিটন এখনো ব্যাটিং শুরু করেননি। কয়েকটি রানিং সেশন সম্পন্ন করেছেন, আরও কয়েকটি সেশন বাকি। এরপর ফিটনেস ট্রেইনার ও এমআরআই রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ লিটন তাঁর আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে এমআরআই করিয়েছেন, জানিয়েছেন বিসিবি সূত্র। রিপোর্ট হাতে এলে নির্বাচকেরা তাঁর অবস্থা পর্যালোচনা করবেন। নির্বাচক হাসিবুল হোসেন শান্ত বলেছেন,
“ওয়ানডে সিরিজে লিটন না থাকলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ফিরতে পারে সে। এখনো ব্যাটিং শুরু করেনি, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে।”
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দল ঘোষণা হতে পারে ১৬ অক্টোবর।
ওয়ানডে ম্যাচ: ১৮, ২১ ও ২৩ অক্টোবর — মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে
টি-টোয়েন্টি ম্যাচ: ২৭, ২৯ ও ৩১ অক্টোবর
ওয়ানডে সিরিজ শেষে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ঢাকায় ফিরবেন, একই দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলও দুই দফায় ঢাকায় পৌঁছাবে।
লিটন টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরতে পারলে অধিনায়ক হিসেবেই মাঠে নামবেন। এ বছরের মে মাসে তাঁকে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়। তিনি ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই দায়িত্বে থাকবেন।