কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারে নদীবন্দরের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আজ রোববার সকালে বাঁকখালী নদীর তীরের কস্তুরাঘাট এলাকায় সীমানা পিলার বসাতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা সড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
ঘটনার বিবরণ
স্থানীয়রা জানান, বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে সীমানা পিলার বসাতে এলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সকাল ৯টার দিকে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদে নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বন্দর মোকাম, পেশকারপাড়া ও কস্তুরাঘাট এলাকার কয়েক শ নারীও বিক্ষোভে অংশ নেন।
পরে জেলা প্রশাসনের অনুরোধে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
পটভূমি
বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে কস্তুরাঘাট এলাকায় প্রায় সাড়ে ৪০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর তীরবর্তী প্রায় ৬৩ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়। দখলমুক্ত ওই জমিতে সীমানা চিহ্নিতকরণের উদ্যোগ নিলে স্থানীয়রা বাধা দিচ্ছেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ
উচ্ছেদ হওয়া কয়েকজন দাবি করেন, যেসব জমি থেকে তাঁদের উচ্ছেদ করা হয়েছে, তা ব্যক্তিমালিকানাধীন। এ জমিতে স্থাপনা না করার বিষয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলেও তাঁরা দাবি করেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
কক্সবাজার নদীবন্দরের বন্দর কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াকিল জানান,
“বিক্ষোভকারীদের কারও কাছেই জমির মালিকানার কোনো কাগজপত্র নেই। আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছি না, শুধুমাত্র আগেই উচ্ছেদ করা জমিতে সীমানা পিলার বসানো হচ্ছে। পুরোনো দখলদাররা সরকারি কাজে বাধা দিতে লোকজন জড়ো করছেন।”