১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

কক্সবাজারে পর্যটকদের হোটেল বুকিং বাতিল

admin
প্রকাশিত ০৭ জুলাই, সোমবার, ২০২৫ ২৩:০৭:৫৪
কক্সবাজারে পর্যটকদের হোটেল বুকিং বাতিল

Manual4 Ad Code

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। চার দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে উত্তাল রয়েছে সাগর। আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজারসহ দেশের চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। এতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা।

Manual3 Ad Code

আজ সোমবার পর্যটক, হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম হয়েছিল। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউসের ৯০ শতাংশ কক্ষও আগাম বুকিং ছিল। কিন্তু টানা বৃষ্টি ও সাগর উত্তাল থাকায় অনেক পর্যটক কক্ষ বুকিং বাতিল করেছেন।

Manual3 Ad Code

কক্সবাজার হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান আজকের পত্রিকাকে জানান, শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউসের অধিকাংশ কক্ষ খালি হয়ে গেছে। আজ দুপুরে পর্যটকদের বড় অংশ ফিরে গেছে।

টানা বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা ও জেলার ৯ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সড়কে পানি উঠে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কক্সবাজারে ৯ জুলাই পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি থাকতে পারে। এতে পার্বত্য এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান বলেন, আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

উখিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির প্লাবিত হয়েছে।

Manual1 Ad Code

উখিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ টি এম কাউছার আহমদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, কয়েক দিনের অতি বৃষ্টির কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিচু এলাকায় বসবাসরত শেডগুলো তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা পরিবারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ক্যাম্প ইনচার্জদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের সি-সেফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, কয়েক দিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। এই অবস্থায় সাগরে গোসলে নামা ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি সৈকতের কয়েকটি স্থানে রয়েছে গুপ্তখাল। এসব ঝুঁকি চিহ্নিত করে লাল নিশানা ওড়ানো হয়েছে। কিন্তু পর্যটকদের অনেকেই নির্দেশনা না মেনে সাগরে নেমে পড়েন।

Manual2 Ad Code

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, উত্তাল সাগরে ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নামতে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে লাল নিশানা ওড়ানো হচ্ছে। পর্যটকেরা যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার শিকার না হন, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।