১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

কাজিপুর সোনামুখিতে মিথ্যা মামলা দিয়ে মামা ভাগনার চাঁদাবাজীর চেষ্টা

admin
প্রকাশিত ০৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার, ২০২৫ ১৯:৪১:০৫
কাজিপুর সোনামুখিতে মিথ্যা মামলা দিয়ে মামা  ভাগনার  চাঁদাবাজীর চেষ্টা

Manual4 Ad Code

সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা  সিরাজগঞ্জ কাজিপুর সোনামুখি ইউনিয়নে স্থলবাড়ি  বাজারে বিএনপির ক্লাবে আগুন দিয়ে পোড়ানো এবং  মাদকাসক্ত অবস্থায় নিজের শরীরে নিজেই ব্লেটের আঁচড় দিয়ে  বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে এলাকার প্রায় ৪৬ জন প্রভাবশালী ব্যাক্তিকে আসামি করে  পর পর কাজিপুর থানায় তিন টি এবং সিরাজগঞ্জ কোটে একটি  মামলা দায়ের করে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। গত বৃহস্পতিবার ৫ ই জুন ২০২৫ ইং সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,কাজিপুর সোনামুখি ইউনিয়নের পাঁচগাছি গ্রামের মোঃ দারাজ আলীর ছেলে  জাহিদুল ইসলাম জাহিদ দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক অবৈধ মাদক,জুয়া,চাঁদাবাজি সহ নানা ধরনের কাজের সাথে জড়িত হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠছে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Manual1 Ad Code

 

 

Manual1 Ad Code

 

 

Manual4 Ad Code

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়  কয়েকজন ভিডিও ও কল রেকর্ডে বলেন জাহিদুল ইসলাম সোনামুখি ইউনিয়নের ১ নং ওয়াড বিএনপির সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তাদের একটি চক্র বিভিন্ন সময় নানা ভাবে নিরীহ মানুষকে মামলা হামলার হুমকি দিয়ে হয়রানী করে চলছে, এটা প্রতিরোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ – তা না হলে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এদিকে( এক নং)    ওয়াড বিএনপির সভাপতি  দুলাল সরকার বলেন জাহিদুলের দায়ের করা মামলা সঠিক নয়  সবই মিথ্যা, আর আমাদের এলাকার বিষয় আমরা সমাধান করে নিবো।

 

 

 

 

 

Manual8 Ad Code

তবে  এ-সব মিথ্যা মামলা তুলে আনতে বলছি। অন্য দিকে এভাবে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিএনপির দাপট দেখিয়ে এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় আসল বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও জানান তিনি।  অপর দিকে  জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন ঘটনার সত্যতা আমি কি বলবো মামলার সাক্ষী যারা আছেন তাদের জিজ্ঞেস করেন। এসব বিষয়ে জাহিদের মামা আব্দুল আলিমও এই অবৈধভাবে চাঁদাবাজি চক্রে জড়িত আছে বলে অভিযোগের ভিত্তিতে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব মিথ্যা এবং আমিও তার মামলায় এক নং আসামি। পরে আমাকে  আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।  তিনি মামলায় এক নং আসামি থেকে নাম বাদ পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলেননি।

 

 

 

 

এতে কৌশলগত ভাবে আলিম এই চক্রের সাথে জড়িত আছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়। এবং তিনি বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় তার অপরাধ ঢাকতে  সিরাজগঞ্জ শহরে এসে রাত দশটার দিকে সাংবাদিকদের মোবাইলে ডেকে এনে মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন। এতে নিস্বন্ধে বলা যায় তিনি একজন নামকরা চাঁদাবাজ।   এবিষয়ে জাহিদুলের দায়ের করা চার টি মামলায় মোট ৪৬ জন আসামি সহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের মানুষ খুব দ্রূতই এর সমাধান চেয়ে প্রসাশনিক হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।