মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া পৌর এলাকার উছলাপাড়ায় মাত্র ১৬ বছর বয়সী এক মেধাবী শিক্ষার্থী আত্মহ°ত্যা করেছে।
মেয়েটির নাম সুরাইয়া ইসাছমিন রুহি। সে কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য) সন্ধ্যায় তার নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুরাইয়ার গ্রামের বাড়ি সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ থানার আশিঘর, গিলাছড়া গ্রামে। তার বাবার নাম শেখ রুমান আলী। ছোটবেলা থেকেই সুরাইয়া কুলাউড়ার উছলাপাড়ায় তার খালার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছিল। তৃতীয় শ্রেণি থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত খালার আশ্রয়ে থেকে সুরাইয়া শিক্ষাজীবন চালিয়ে যাচ্ছিল।
তার খালা জানান, সুরাইয়া বরাবরই মেধাবী ও পরিশ্রমী ছাত্রী ছিল। পরিবার থেকে দূরে থেকেও সে কখনো পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়েনি। ছিল স্বপ্নবাজ ও দৃঢ় মানসিকতার অধিকারী। তার লক্ষ্য ছিল উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানো।
এই অসময়ে সুরাইয়ার এমন চিরবিদায় শুধু তার পরিবার নয়, গোটা সমাজকেই নাড়া দিয়েছে।
তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, সুরাইয়া ছিল সবার প্রিয় এবং আদর্শ শিক্ষার্থী।
তবে কী কারণে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
সুরাইয়ার অকাল মৃত্যু আমাদের সামনে আবারও এক কঠিন প্রশ্ন তুলে ধরলো—
মেধা ও স্বপ্ন থাকা সত্ত্বেও একজন কিশোরী কেন এমন পরিণতির দিকে ধাবিত হয়?
মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব, সামাজিক সহায়তা এবং কিশোর বয়সের সংকট—এগুলো নিয়ে এখনই আমাদের সচেতন হতে হবে।