
সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপে ছয় বছর বন্ধ থাকার পর নতুন একটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে চূড়ান্ত পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ।
ওয়ার্কওভার প্রকল্পের উপমহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের মার্চ থেকে কূপটি বন্ধ ছিল। পুনরায় অনুসন্ধান ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম শেষে নতুন স্তরে গ্যাস পাওয়া গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দু–তিন দিনের মধ্যেই এখান থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে।
তিনি আরও জানান, নতুন স্তর থেকে প্রতিদিন ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে এবং এই উৎপাদন আগামী ১০ বছর পর্যন্ত চলতে পারে।
১৯৬১ সালে কৈলাশটিলা-১ কূপের খনন কাজ সম্পন্ন হয়। ১৯৮৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত চারটি স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়।
কূপটি বন্ধ থাকার পর গত জুলাই মাসে ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পঞ্চম স্তরে গ্যাসের সম্ভাবনা যাচাই করতে ওয়ার্কওভার প্রকল্প হাতে নেয় সিলেট গ্যাস ফিল্ড। অবশেষে সেই প্রকল্পে সফলতা মিলল।
নতুন এই গ্যাস উত্তোলনের ফলে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে—যা এলএনজি আমদানির মূল্য হিসেবে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ, মাত্র ৭৩ দিনেই প্রকল্প ব্যয়ের সমপরিমাণ গ্যাস জাতীয়ভাবে সাশ্রয় হবে।