১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি: সেনাসদর

admin
প্রকাশিত ৩১ জুলাই, বৃহস্পতিবার, ২০২৫ ১৯:৪৫:১৩
কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি: সেনাসদর

Manual6 Ad Code

কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি সেনাবাহিনীর পক্ষপাত নেই জানিয়ে মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, গোপালগঞ্জে এনসিপি জীবননাশের হুমকি থাকায় সেনাবাহিনী কেবল তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এখানে কোনো দলকে বিশেষভাবে সহায়তা করার প্রশ্নই ওঠে না।

Manual2 Ad Code

তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করলে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত। জীবন রক্ষাই প্রধান বিবেচনায় নিয়েছি, কোনো রাজনৈতিক পক্ষ নয়।’

Manual5 Ad Code

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন কর্নেল শফিকুল ইসলাম। সেখানে সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পার্বত্য অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং গোপালগঞ্জে সংঘর্ষসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

Manual4 Ad Code

কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কোনো দলের প্রতি আলাদা নজরে দেখি না। দায়িত্ব পালনে আমাদের কাছে সবাই সমান। গোপালগঞ্জে যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতেই সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘ওখানে শুধু ইট-পাটকেলই নয়, ককটেলও ছোড়া হয়েছিল। যখন প্রাণনাশের হুমকি থাকে, তখন আমরা বল প্রয়োগ করি। তবে প্রাণঘাতী কোনো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।’

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের সমাবেশে বারবার হামলা এবং তা রোধে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি স্থানীয় প্রশাসনের বিষয়। সেনাবাহিনীর কাছে সে ধরনের কোনো তথ্য ছিল না। যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, তখনই আমরা হস্তক্ষেপ করি।’

গত ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা গোপালগঞ্জে গেলে তাঁদের কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর ককটেল বিস্ফোরণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে যুবলীগ সদস্যসহ চারজন নিহত এবং পুলিশ, সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন মারা যান।

Manual4 Ad Code

পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘কুকি-চিন’ ও ‘আরাকান আর্মি’র অস্ত্র কেনাবেচা এবং সন্ত্রাসী তৎপরতার খবরের বিষয়ে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকায় প্রোটেকশন দিচ্ছে এবং আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যদি কোনো এলাকায় ক্যাম্পের প্রয়োজন হয়, আমরা সেখানে টেম্পোরারি অপারেটিং বেজ স্থাপন করি।’