কোম্পানীগঞ্জে বেপরোয়া চোরাচালান

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২৫

কোম্পানীগঞ্জে বেপরোয়া চোরাচালান

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান নিজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন স্থানীয় ব্যক্তি শামীম মিয়াকে, যিনি এলাকায় “লাইনম্যান” হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, তিনি চোরাচালান ও অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন চক্রের সঙ্গে যুক্ত এবং প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বখরা সংগ্রহ করে দেন ওসিকে।

 

 

 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাঝেরগাঁও এলাকার মৃত ইউনুছ মিয়ার পুত্র শামীম মিয়া একসময় সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন। পরবর্তীতে মাদক চোরাচালানে জড়িয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। রাজনৈতিক যোগাযোগের সুবাদে তিনি প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। পূর্বে আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে কাজ করলেও, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর তিনি নিজেকে বিএনপি সমর্থক পরিচয় দিতে শুরু করেন।

বর্তমানে তিনি ওসি উজায়ের আল মাহমুদের প্রধান লাইনম্যান হিসেবে সীমান্তঘেঁষা বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মাদক, আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় পণ্য, এবং অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলনের চাঁদা তোলেন। এসব কাজে তার অধীনে একাধিক সহকারী লাইনম্যান রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, শামীমের মাধ্যমে প্রতিদিন ৪-৫ লাখ টাকা বখরা ওসির কাছে পৌঁছায়, যা দিয়ে তারা দু’জনই বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

 

 

 

 

ফলে মাঝরগাঁও, বরমসিদ্ধিপুর, ভাটরাই, কালীবাড়ি, নয়াবস্তী, কামালবস্তী, তোরংসহ একাধিক পয়েন্ট দিয়ে চোরাচালান কার্যক্রম অবাধে চলছে। পাশাপাশি শারপিন টিলা, ভোলাগঞ্জ বাংকার, উৎমা, কালাইরাগ, ধলাইসেতু এলাকায় রাতদিন চলছে অবৈধ পাথর উত্তোলন, যা ধলাইসেতুর অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলেছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগের জন্য ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় ওসি উজায়ের আল মাহমুদের সরকারি মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। অন্যদিকে শামীম মিয়া দাবি করেছেন, তিনি ওসিকে চেনেন না এবং কখনও তার সঙ্গে দেখা হয়নি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ