নিজস্ব প্রতিবেদক:
খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় চলমান ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। খুব শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে সর্বসাধারণকে আদেশের বিষয়টি জানানো হবে। বর্তমানে উপজেলা দুটির যানবাহন ও মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জানা গেছে, যেকোনো সময় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হতে পারে। এমনকি আগামীকাল রোববার ভোর থেকেই ধারা প্রত্যাহার কার্যকর হতে পারে।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান মারুফ সাংবাদিকদের কে বলেন, “১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের গণবিজ্ঞপ্তি জারির আদেশে এখনো স্বাক্ষর হয়নি, তাই সুনির্দিষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে। আদেশ জারি হলে সর্বসাধারণকে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
এদিকে, জুম্ম ছাত্র-জনতা সংগঠনটি আজ শনিবার সকালে সড়ক অবরোধ সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনটির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানবিক কারণে এবং প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলায় এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার বিচার দাবিতে ২৭ সেপ্টেম্বর ভোরে **‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’**র ব্যানারে সড়ক অবরোধ শুরু হয়। একই দিন বেলা ২টার পর থেকে জেলার সদর উপজেলা, পৌরসভা এলাকা এবং গুইমারায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকা অবস্থায় গুইমারায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হন এবং সেনা কর্মকর্তাসহ বহু মানুষ আহত হন। গুইমারার রামসু বাজার ও আশপাশের দোকানপাট ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সহিংসতার সময় শহরের মহাজনপাড়া, নারিকেলবাগান, স্বনির্ভর বাজার ও নারানখাইয়া এলাকায় অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। গত মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অবরোধ স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছিল জুম্ম ছাত্র-জনতা।