খাগড়াছড়ির গুইমারায় গতকাল রোববার ১৪৪ ধারা ভেঙে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। রামসু বাজারে দুর্বৃত্তদের আগুনে তিনটি দোকান ও মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত তিনজন নিহত ও সেনাসদস্য ও সাংবাদিকসহ অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা কংলাপ্রু মারমা বলেন, “আমরা শান্তি চাই, সহিংসতা আর নিতে পারছি না; সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। জীবিকা নির্বাহের আর কোনো উপায় নেই। প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমার। এখনো কোনো সরকারি সহায়তা পাইনি।”
একইভাবে হলুদ ব্যবসায়ী ঝন্টু পাল ও পরেশ পালও জানান, আগুনে তাঁদের গুদাম ও মজুত পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। পরেশ পাল বলেন, “সারা জীবনের সঞ্চয় মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল।”
স্থানীয়রা জানান, উপজেলাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা-বেচা বন্ধ, দোকানপাট প্রায় সবই বন্ধ।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় হয়েছে। আজ সকাল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব-৭, সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ, বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রামসু বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দেওয়া হচ্ছে।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, “গতকালের ঘটনায় গুইমারায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”