
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি, তবে নতুন করে অবনতিও দেখা যাচ্ছে না। চিকিৎসকেরা এটিকে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন।
মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানান, “ম্যাডামের কিছুটা উন্নতি হচ্ছে, তবে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নয়। বয়সজনিত ঝুঁকিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।” তিনি আরও বলেন, এ মুহূর্তে তাঁর শারীরিক অবস্থা বিদেশযাত্রার উপযোগী না হওয়ায় লন্ডনে নেওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত রয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানান, এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে ‘পৃথিবীর সেরা চিকিৎসা’ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ২৭ নভেম্বর নেওয়া হয় সিসিইউতে।
কাতারের সহযোগিতায় লন্ডনে নেওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হলেও শারীরিক অবস্থা অনুপযোগী থাকায় তা স্থগিত করা হয়েছে।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি দুই ডজন বিশেষজ্ঞ নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন তাঁর চিকিৎসা নিয়ে বৈঠক করছে। এ সময় তাঁর পাশে আছেন পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, সৈয়দা শামিলা রহমান, গৃহপরিচারিকা ফাতেমা ও স্টাফ রূপা আক্তার। ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তাঁর স্ত্রীও নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন।