ঢাকা (২০ ডিসেম্বর): বছরের শেষ দিকে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে, যার ফলে আজ শনিবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।
গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ডলারের দাম ছিল ১২৪ টাকা ৮০ পয়সা, অর্থাৎ মাত্র একদিনের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে কমপক্ষে ১ টাকা ২০ পয়সা। বর্তমানে ব্যাংকের নির্ধারিত দরের (১২২ টাকা ৩০ পয়সা) তুলনায় খোলাবাজারে ডলারের দাম ৩ টাকা ৭০ পয়সা বেশি।
সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খোলাবাজারে নগদ ডলারের সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও মূলত চাহিদার চাপে দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে মানি চেঞ্জারগুলো প্রতি ডলার কিনেছিল ১২৩ টাকা ৮০ পয়সায় এবং বিক্রি করেছে ১২৪ টাকা ৮০ পয়সায়। তবে গতকাল, খোলাবাজারে ঘোষিত দর অনুযায়ী ক্রয়মূল্য ছিল ১২৪ টাকা ২০ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ছিল ১২৫ টাকা ২০ পয়সা।
শনিবার ছুটির দিন থাকায় নতুন দর আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাধারণত বছরের শেষ দিকে মানুষ ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে বেশি যায়, যার ফলে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। যদিও ভারত, ভুটান ও মালয়েশিয়া-সহ কয়েকটি দেশে ভিসায় কড়াকড়ি থাকায় বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমেছে, তবে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইউরোপ ও আমেরিকা-র মতো দেশগুলোতে যাতায়াত বেড়েছে। এসব দেশে ভারতের তুলনায় বেশি ডলার খরচ হয়, এবং অনেকেই ব্যাংক থেকে ডলার না পেয়ে খোলাবাজারে কিনছেন।
একই সঙ্গে, কিছু গোষ্ঠী নগদ ডলার কিনে হাতে রেখে রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে খোলাবাজারে বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২২.২৯ টাকা থেকে ১২২.৩০ টাকা পর্যন্ত। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ২৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গৌতম দে বলেন, “ভারতসহ কয়েকটি দেশ ভিসায় কড়াকড়ি করছে, যা খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি করেছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ১২৫ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করছি। এর বেশি কেউ নিচ্ছে বলে জানা নেই।” তিনি আরও বলেন, নতুন ঘোষিত দর রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করা হবে।