
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় আমন ধানে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগের আক্রমণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এমনিতেই সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের উচ্চমূল্যে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। তার ওপর নতুন এ সমস্যা ফলন নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে।
সরেজমিনে উপজেলার করমদী, তেরাইল ও বামন্দী মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, অনেক জমির রোপা আমনে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষকেরা নানা ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করলেও কাঙ্ক্ষিত ফল মিলছে না।
করমদী মাঠের চাষি শওকত আলী বলেন, ‘ধানের শিষ না আসতেই মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। কীটনাশক ব্যবহার করেছি, তাতে আক্রমণ কিছুটা কমেছে; তবে পুরোপুরি সমাধান হয়নি।’
তেরাইল মাঠের কৃষক চাঁদ আলী বলেন, ‘গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার কারণে অনেক খরচ হচ্ছে। নানা কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’
বামন্দী মাঠের কৃষক উসমান আলী জানান, ‘আমার জমির ধানেও রোগ দেখা দিয়েছে। ওষুধ ব্যবহার করছি, দেখি কতটা কাজে আসে।’
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলায় ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। এর মধ্যে বেশ কিছু জমিতে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, মাজরা পোকার মথ দমনের জন্য ধানখেত থেকে ২০০-৩০০ মিটার দূরে আলোক ফাঁদ বসানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি ১০০ মিটার জমিতে ১০-১৫টি বা পাঁচটি মরা শিষ দেখা গেলে ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউজি, এসিমিক্স, ফেনজেট কিংবা বেল্ট এক্সপার্টের মতো অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে।