গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৩৭ ফিলিস্তিনির

প্রকাশিত: ৪:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৩৭ ফিলিস্তিনির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বৃহস্পতিবার

গাজায় প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। ইসরায়েলি আগ্রাসনে আজ বৃহস্পতিবার আরও ৩৭ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ২২ জন গাজা সিটির বাসিন্দা। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে চারজন ত্রাণপ্রত্যাশীও রয়েছেন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে মারা গেছেন আরও তিন ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৩১ জনই শিশু।

তীব্রতর হচ্ছে হামলা

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলার মাত্রা কয়েকগুণ বেড়েছে। বুধবার রাতভর সেখানে চালানো হয় ভয়াবহ হামলা। আবাসিক বাড়িঘর ও বাস্তুচ্যুতদের তাঁবু লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

তিন বছরের ইব্রাহীমের বেঁচে যাওয়া

এই হামলায় পরিবার হারিয়েছে তিন বছরের শিশু ইব্রাহীম। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সে এখন ৪৯ হাজার শিশুর একজন—যারা চলমান যুদ্ধে বাবা, মা অথবা উভয়কেই হারিয়েছে। ইব্রাহীমের দাদি আবু আল আবেদ আল-জাজিরাকে বলেন, ‘ইব্রাহীমের কান্নায় আমাদের ঘুম ভাঙে। দৌড়ে এসে দেখি, ধ্বংসস্তূপের নিচে সে পড়ে আছে। আমার মেয়ের মরদেহ ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পাই। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল জামাতা ও নাতনির মরদেহ।’

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ১৭ হাজার শিশু অনাথ হয়েছে।

চাপের মুখে হাসপাতালগুলো

গাজা সিটিতে হামলার মাত্রা বাড়তে থাকায় চরম চাপের মুখে পড়েছে সেখানকার হাসপাতালগুলো। চিকিৎসকেরা বলছেন, এত বিপুলসংখ্যক রোগীর জন্য পর্যাপ্ত স্থান নেই। অবরোধ ও লাগাতার হামলার কারণে প্রয়োজনীয় সেবাও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

আল-জাজিরার প্রতিবেদক জানিয়েছেন, রোগী বহনের মতো পর্যাপ্ত স্ট্রেচার নেই। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে আহতদের কাঁধে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ