গোয়াইনঘাটে যুবদল নেতা কামরুলের নেতৃত্বে চলছে চোরাচালানের চাঁদাবাজি 

প্রকাশিত: ১০:০৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪

গোয়াইনঘাটে যুবদল নেতা কামরুলের নেতৃত্বে চলছে চোরাচালানের চাঁদাবাজি 

গোয়াইনঘাটে যুবদল নেতা কামরুলের নেতৃত্বে চলছে চোরাচালানের চাঁদাবাজি 

 

বিশেষ প্রতিবেদক :: বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর পরই সিলেটের গোয়াইনঘাটে চোরাচালানের সিন্ডিকেটে হাতবদল হয়েছে।এখন যুবদল নেতা কামরুল সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে এ সিন্ডিকেটের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ছিল গোয়াইনঘাটের ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাদের হাতে।

গোয়াইনঘাটের একাধিক চোরাকারবারিদের দেওয়া তথ্যমতে, ক্ষমতার পালাবদলের পর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। এ সুযোগে গোয়াইনঘাটে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নেন
যুবদলের নেতা কামরুল, খায়রুল, হালিম, ফখরুল, বুলবুল, জসিম, হোসেন, কামাল, ও জিয়া।ছাত্র দলের আরিফুল ইসলাম, ফরিদ, মোশাররফসহ তাদের সিন্ডিকেট। তাঁদের নেতৃত্বেই এখন সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাই চিনিসহ বিভিন্ন পন্যে ট্রাক ও পিকাপে করে এনে নিরাপদে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। এর বিনিময়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছেন।

সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জাফলং সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চিনিসহ বিভিন্ন পন্যে আসে। এসব চিনি তামাবিল-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক ও ভোলাগঞ্জ-গোয়াইনঘাট কোম্পানীগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে নগরের পাইকারি বাজার কালীঘাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। আগে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁদের অনুসারীরা পাহারা দিয়ে প্রতিদিন মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত চোরাই চিনির ট্রাক শহরে ঢোকাতেন। এখন এ কাজে হাতবদল ঘটেছে।

একাধিক চোরাকারবারির ভাষ্য, ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর কারবারিরা অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। চোরাচালানের হোতা ছাত্রলীগ নেতারাও আত্মগোপনে চলে যান। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় নজরদারিও আগের চেয়ে বাড়ে। এতে পাচার অনেকটা কমে যায়। তবে আবার চিনি পাচার শুরু হয়েছে। এখন শহরে নির্বিঘ্নে চোরাই চিনির প্রবেশে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন অসাধু কিছু ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে জানতে যুবদল নেতা কামরুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনারা পারলে কিছু করেন,বলে হুংকার দিয়ে ফোন কেটে দেন।

এ ব্যাপারে জানতে গোয়াইনঘাট থানার অফিসারের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে ফোন রিসিভ করেননি।
বিস্তারিত আসছে প্রিন্ট পত্রিকা সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া জানতে পারবেন কে এই কামরুল!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ