১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

গোয়াইনঘাট সীমান্তে গরু, মহিষ, মোটরসাইকেল চোরাচালানে দুলাল সিন্ডিকেট

admin
প্রকাশিত ০৮ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, ২০২৩ ১৬:১২:২২

Manual6 Ad Code

গোয়াইনঘাট সীমান্তে গরু, মহিষ, মোটরসাইকেল চোরাচালানে দুলাল সিন্ডিকেট

Manual3 Ad Code

ক্রাইম প্রতিবেদক:: ‘বোঙারী’দুলাল।এক নামেই তাকে চিনেন সবাই।গোয়াইনঘাট সীমান্ত থেকে জাফলং সীমান্ত পর্যন্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে সে।সীমান্তে বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের কারণে অনেক আলোচিত।অতীতে তার নেতৃত্বেই সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র ওপর হামলা চালানো হয়েছিলো।এই হামলার মামলাও হয়েছিলো কিন্তু তার অবৈধ টাকার কারনে তদন্ত অফিসারকে ম্যানেজ করে সেই মামলা থেকে বাদ পড়েন।তার নেতৃত্বে চোরাচালানি চক্রের শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে প্রতাপপুর বাবুরকোনা,শ্যামগ্রাম এলাকায়।তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে যায় মটরশুঁটি,স্বর্ণ সহ নানা জিনিস।প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যেই চলছে রমরমা দুলালের চোরাই পণ্য বাণিজ্য।তাঁর নাম শুনলেই আঁতকে উঠেন পান্তুমাই,বাবুরকোনা,শ্যামপুর,এলাকার মানুষ। চাঁদাবাজি,কথায় কথায় মারধর,হুমকি-ধমকি, চোরাকারবারিদের ওপর হামলা সবকিছুই যেন তাঁর কাছে মামুলি ব্যাপার। তাঁর বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ। এরপরও তিনি দাপিয়ে বেড়ান ক্ষমতার দাপট নিয়ে।তাঁর দাপটে অতিষ্ঠ গোয়াইনঘাট সিমান্তের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষ।
দুলাল আহমদ ঢালারপার এলাকার মৃত ইদ্রিস প্রকাশ মন্ত্রির ছেলে দুলাল।তবে দুলাল প্রকাশ্যই নিয়ন্ত্রণ করছেন সিমান্তের অপরাধ জগৎ।জানা গেছে,গোয়াইনঘাট থেকে পুর্ব-জাফলং এলাকার একটি সিন্ডিকেট গ্রুপের দলনেতা দুলাল। কোথায়,কীভাবে,কোন চোরাচালানে মাল লুটপাট করতে হবে—এসবের নির্দেশনা দেন তিনি।তার অপকর্মের ভয়ংকর তথ্য আছে গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে।তার এমন দাপট খোদ সিমান্তের বিজিবি প্রশাসনকে’ও দেখান ক্ষমতা।তার এসব কাজে বাধা দেওয়ারমত কেউ আছেন বলে তার মনে হয়না।
অনুসন্ধানে জানা যায়,গোয়াইনঘাট পুর্ব-জাফলং এলাকার একাংশ ঘিরেই সন্ত্রাসী চোরাকারবারি দুলালের একক রাজত্ব।একের পর এক ঘটনা ঘটালেও প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে দাপটের সঙ্গে চলেন তিনি।সম্প্রতি বিজিবির সামনেই সিমান্তে অনেক চোরাকারবারিদের মারধর করে তাদের মালামাল নিয়ে যান।কিন্তু তার কাজে বিজিবিকেও বাধা দিতে দেখা যায়নি।দুলাল বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।মোটকথা তার ভয়ে সবাই চুপ।দুলালের দাপটে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে খোদ বিজিবিও ভয়ে ভয়ে থাকে।গরু,মহিষ,মোটরসাইকেল চোরাচালানের শীর্ষে দুলাল।অতিতে নানা অপকর্মের মূলহোতা দুলালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সিমান্ত এলাকার অসংখ্য মানুষ উল্টো হয়রানির শিকার হয়েছে।বিগত দিনেও বিজিবি দুলালের গরুর চালান আটক করার চেস্টা করলে বিজিবির সাথে ধস্তাধস্তি হয় এব্যাপারে মামলাও হয়েছিলো কিছুই হয়নি তার।বর্তমানে প্রকাশ্যে চোরাচালান করলেও বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা দুলালকে গ্রেফতারে অনীহা দেখাচ্ছেন।

Manual2 Ad Code

দুলালের বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।এদিকে অবৈধ পথে আসা ভারতীয় গরু-মহিষের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় কয়েকটি বাজার। এছাড়া অন্যান্য পণ্য সিলেট নগরীতে নিরবে প্রবেশ করছে। চোরাকারবারি দুলালের রংবাজির ফলে স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে জীবন-যাপন করছেন।এ ব্যাপারে প্রতাপপুর বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এসব বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না এবং এবিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।