গোয়াইনঘাটের থানার মায়া জালে বন্দি কেনো এসআই জহিরুল !

প্রকাশিত: ৩:০৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২৩

গোয়াইনঘাটের থানার মায়া জালে বন্দি কেনো এসআই জহিরুল !

গোয়াইনঘাটের থানার মায়া জালে বন্দি কেনো এসআই জহিরুল !

পৃথিবীর কথা নিউজ ডেস্ক:- সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানায় প্রায় ২৫ মাস ধরে কর্মরত থাকা চোরাচালান কান্ডে জড়িতে বির্তকিত এসআই মোঃজহিরুল ইসলাম খানকে অবশেষে বদলী করা হয়েছে।কিন্তু বদলির প্রায় এক মাস অতিক্রম হলেও অদৃশ্য কারণে গোয়াইনঘাট থানার মায়া ছাড়তে পারছেন না তিনি।

বদলির আদেশ হওয়ার পরও তিনি গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের টাকা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে একাধিক সুত্র তা নিশ্চিত করেছে।

 

বিগত সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে গোয়াইনঘাটের চোরাচালানের নিয়ন্ত্রক দুই এসআই’ শিরোনামে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। আর ওই সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর টনক নড়ে পুলিশ প্রশাসনের।তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় জেলা পুলিশসহ রেঞ্জ অফিসে। পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নজরে আসে বিষয়টি। ঠিক সেই মূহুর্তে নড়েচড়ে বসেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি।

বিগত(১৮ জুলাই)সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম(বার)পিপিএম-এর সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ বদলির আদেশ জানানো হয়।

 

জানা গেছে,গোয়াইনঘাট থানার এসআই মোঃ জহিরুল ইসলাম খান ও এসআই মিহির চন্দ্র দাসকে এক সঙ্গে সুনামগঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,বদলিকৃত কর্মকর্তারা বর্তমান কর্মস্থল ছেড়ে নতুন কর্মস্থলে আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে যোগদানের জন্য কিন্তু কে শুনে কার কথা এসআই মিহির চন্দ্র দাস ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করলেও অদৃশ্য কারণে গোয়াইনঘাটের মায়া ছাড়তে পারছেন না এসআই জহিরুল ইসলাম খান।

 

বদলীর সময়সীমা অনুযায়ী দীর্ঘ একমাস অতিক্রম হলেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন এবং বদলির আদেশ হওয়ার পরেও চোরাচালানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এসআই মোঃ জহিরুল ইসলাম খান বলে একাধিক বিশ্বস্ত সুত্র তা নিশ্চিত করেছে।

এদিকে এসআই মোঃ জহিরুল ইসলাম খান নিজে সাধু সাজার জন্য গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত আরেক এসআই পিন্টু সরকার, উজ্জ্বল, মানিক, হাবিব, রহিম সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করার জন্য সিলেটের এক সংবাদ কর্মী কে জিন্দাবাজারস্থ কোন এক রেস্টুরেন্টে বসে নগদ পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক সংবাদ কর্মী। কিন্তু সেই সংবাদ কর্মী এসআই পিন্টু সরকার সম্পর্কে তদন্ত করে আসল ঘটনা জানতে পেরে কোন ধরনের সংবাদ প্রচার করা হয় নি ।

 

তথ্য সূত্রমতে, গোয়াইনঘাট থানার ০২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা পান্তুুমাই দিয়ে চোরাইপথে দৈনিক শত শত ভারতী গরু ও হাজার বস্তা ভারতীয় চিনি অবাধে দেশে আসছে। তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বদলি হওয়া এসআই মোঃ জহিরুল ইসলাম খান।
চোরাচালানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগেই গোয়াইনঘাট থানার ০২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের বিটের দায়িত্বে থাকা বির্তকিত এসআই মোঃ জহিরুল ইসলাম খানকে বদলি করা হয়েছে বলে তিনি নিজে সংবাদ কর্মীদের কাছে প্রকাশ করছেন এবং পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সুত্র বিষয়টি সঠিক ভাবে নিশ্চিত করেছে।

 

এদিকে, অদৃশ্য কারণে এসআই মোঃ জহিরুল ইসলাম খান এখনো আগের কর্মস্থলে রয়েছেন। দিনের আলো শেষে অন্ধকার হলেই শুরু তার ইনকাম। গুনতে থাকেন কয়েক লক্ষ টাকা। আর এই টাকা তিনি আদায় করেন ভারতীয় চিনি ও ভারতীয় গরু চোরাচালান কারবারীদের নিকট হইতে। সেই কালো টাকার মায়ায় আটকা পরে আছেন তিনি বিদায় গোয়াইঘাটের মায়া ছাড়তে পারছেন না এসআই মোঃ জহিরুল ইসলাম খান।
এ ব্যাপারে জানতে বদলি হওয়া এসআই মোঃ জহিরুল ইসলাম খানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি বার ফোন কেটে দেন এতে তাহার নতুন কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

বিস্তারিত আরো অনেক তথ্য প্রমাণ অডিও রেকর্ড ভিডিও ফুটেজ সহ আছে আমাদের কাছে এসআই জহিরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে পরবর্তী নিউজে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হবে।

সুত্র:- sylhetbrekingnews.com

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ