
বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার না করার আশ্বাসে তিনি এক লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন।
তবে গতকাল শনিবার রাতে এসআই মামুন রাজুকে গ্রেপ্তার করলে গ্রামবাসী নারী-পুরুষ মিলে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় রাতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষের নামে মামলা করা হয়।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান জানান, হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আসামি রাজু এখনো পলাতক। তাঁর বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে। একই সঙ্গে এসআই মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, এসআই মামুন বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় মামলা করেছেন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা রাজুসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসআই মামুন এক কনস্টেবলসহ চক ভোলাখাঁ গ্রামে গিয়ে রাজুকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরান। এ সময় রাজুর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা পুলিশকে ঘিরে ধরে হামলা চালিয়ে রাজুকে ছিনিয়ে নেয়।
রাজুর পরিবারের অভিযোগ, এক সপ্তাহ আগে এসআই মামুন রাজুকে গ্রেপ্তার না করার আশ্বাসে এক লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আশ্বাস ভঙ্গ করেই তিনি শনিবার রাতে রাজুকে গ্রেপ্তার করেন, এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী বাধা দেন।
চক ভোলাখাঁ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলিম বলেন, “শনিবার রাতে রাজুর বাড়ি থেকে মহিলাদের চিৎকার শুনে আমরা ছুটে যাই। দেখি সাদাপোশাকে দুই ব্যক্তি মহিলাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন। পরে জানতে পারি, তাঁরা থানার পুলিশ।”
ওসি শাহিনুজ্জামান বলেন, “ছিনিয়ে নেওয়া আসামি এবং পুলিশের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পাশাপাশি এসআই মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও তদন্তাধীন।”