চলছে হরতাল, ঢাকা-খুলনা-মোংলা মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২৫

চলছে হরতাল, ঢাকা-খুলনা-মোংলা মহাসড়ক অবরোধ

বাগেরহাট জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ও সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি আজ (রোববার) সকাল ৭টা থেকেই শুরু হয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে, পিকেটিংয়ের তীব্রতা তত বাড়ছে। ভোরে কিছু গাড়ি রাস্তায় দেখা গেলেও বর্তমানে (সকাল ৯টায়) সড়ক-মহাসড়ক ফাঁকা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় ঢাকা-খুলনা-মোংলা ও বাগেরহাট মহাসড়কে চলছে হরতাল-সমর্থকদের বিক্ষোভ। উপজেলার কাটাখালী মোড়, টাউন নওয়াপাড়া মোড়, ফকিরহাট বিশ্বরোড মোড়, ফলতিতা-বটতলাসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, সড়ক-মহাসড়কে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী ও সাধারণ মানুষ সড়কে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করছেন। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন অনেকে। তবে জরুরি সেবা ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করার সুযোগ করে দিচ্ছেন রাস্তায় থাকা লোকজন।

এদিকে বাগেরহাটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজকের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ফকিরহাটের সব দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তবে জরুরি প্রয়োজনে কিছু ফার্মেসি খোলা রয়েছে।

হরতালের সমর্থনে সড়কগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল করছেন ফকিরহাট উপজেলা বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী।

ফকিরহাট উপজেলায় হরতাল ও অবরোধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুল কামাল কারিম, সাংগঠনিক সম্পাদক খান লিয়াকত আলী, ফকিরহাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এ বি এম তৈয়াবুর রহমান, সেক্রেটারি আবুল আলা মাসুমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

হরতাল ও অবরোধ সম্পর্কে সহকারী পুলিশ সুপার (ফকিরহাট সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম শামীম বলেন, ‘আমাদের কয়েকটি টহল টিম ফকিরহাট ও মোল্লাহাট উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল। ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর পর থেকেই বাগেরহাট জেলাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। এর অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল, জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে স্মারকলিপি, ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং আজকের এই হরতাল। আসন কমানো অথবা বহাল রাখার বিষয়ে ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সর্বশেষ নিউজ