১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

চাঁদাবাজদের রক্ষা করতে লড়াইয়ে গোয়াইনঘাট থানার এসআই জাহাঙ্গীর

admin
প্রকাশিত ১৬ জুন, রবিবার, ২০২৪ ০১:৪৮:২০
চাঁদাবাজদের রক্ষা করতে লড়াইয়ে গোয়াইনঘাট থানার এসআই জাহাঙ্গীর

Manual8 Ad Code

চাঁদাবাজদের রক্ষা করতে লড়াইয়ে গোয়াইনঘাট থানার এসআই জাহাঙ্গীর

Manual4 Ad Code

সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলম। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের সাথে গভীর সখ্যতা এবং চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের পক্ষ হয়ে সাজানো মামলা দিয়ে জনহয়রানী’র গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (১২ জুন) সিলেটের পুলিশ সুপার ও সিলেট রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি বরাবরে দেওয়া পৃথক অভিযোগ থেকে এমন তথ্য ফুটে উঠেছে।

Manual7 Ad Code

অভিযোগে প্রকাশ, গত ৪জুন গোয়াইনঘাট থানা এলাকায় চাঁদাবাজি, হামলা ও ছিনতাইয়ের শিকার হন গোয়াইনঘাটের পাথর আমদানী ও রপ্তানীকারক ব্যবসায়ী জুবের আহমদ ও তার ছোট ভাই নাজমুল হোসেন।

Manual1 Ad Code

চাঁদাবাজরা ওইদিন তাদেরকে গুরুতর জখম করে তাদের ব্যবসায়িক ১২লাখ ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ব্যবসায়ী জুবের ও নাজমুল ওই দিনই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

হামলা চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের এ ঘটনায় ব্যবসায়ী জুবেরের বড়ভাই জাকারিয়া আহমদ বাদী হয়ে ৮জুন ২০২৪ ইং তারিখ গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা করেন। যা’ থানার মামলা নং-০৭(৬)২৪। মামলার আসামীরা পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ সুপার ও ডিআইজি বরাবরে দেওয়া ব্যবসায়ী জুবের আহমদের দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, চাঁবাজি ও ছিনতাই মামলার পলাতক আসামীদের পক্ষ হয়ে গোয়াইনঘাট থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম আহত ব্যবসায়ীদের হয়রানী করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। তিনি(এসআই জাহাঙ্গীর আলম) নিজে বাদী হয়ে চাঁদাবাজদের হামলায় আহত চিকিৎসাধীন ব্যবসায়ী জুবের আহমদসহ কয়েকজনকে আসামী করে ১১ জুন ২০২৪ তারিখে গোয়াইনঘাট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি ‘সাজানো’ মামলা টুকে দেন। যা থানার মামলা নং- ১৩ (৬)২৪।

Manual4 Ad Code

ওই মামলায় ব্যবসায়ী জুবের আহমদের হেফাজত থেকে ১৫ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দের অভিযোগ করেন তিনি।

অথচ মামলায় বিবৃত ঘটনার তারিখ ও সময়ে (১০ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত) আহত ব্যবসায়ী জুবের ও তার ভাই নাজমুল চিকৎসার্থে সিলেট নগরের দরগা গেইটস্থ হোটেল হলিগেইট এর ৬০৩ নং কক্ষে অবস্থান করছিলেন। ফলে তাদের হেফাজত থেকে ভারতীয় চিনি জব্দের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও এসআই জাহাঙ্গীরের দেওয়া বিশেষ ক্ষমতা আইনের এ মামলায় বর্ণিত ঘটনার তারিখ ও সময়ে গোয়াইন থানা পুলিশ কর্তৃক ভারতীয় চিনি জব্দের কোনো ব্রিফিং (প্রেসনোট) সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া থেকেও দেওয়া হয়নি।

মূলত চাঁদাবাজ ছিনতাইকারীদেরকে মামলা থেকে রক্ষার নিমিত্তে মালার বাদী পক্ষকে আইনী হয়রানী করতেই এসআই জাহাঙ্গীর আলম বিশেষ ক্ষমতা আইনের এ মামলা সাজিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার ও ডিআইজি কার্যালয়ের ডেসপাস শাখা অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

অভিযোগের অনুলিপি বাংলাদেশ পুলিশের মহা পুলিশ পরিদর্শক সহ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল মহলে প্রেরণ করা হয়েছে বলে দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শনিবার রাত ৭টার দিকে এসআই জাহাঙ্গীরের সেলফোনে বারবার কল দিলে তিনি প্রতিবদকের মেবাইল ফোন রিসিভ করেননি।