১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

চাঁদাবাজ সাদ্দাম ও নাঈমের দখলে জাফলং সীমান্ত, তাদের কাছে স্থানীয় প্রশাসন নিরুপায়,

admin
প্রকাশিত ১৮ আগস্ট, সোমবার, ২০২৫ ১৮:৩৫:৫৩
চাঁদাবাজ সাদ্দাম ও নাঈমের দখলে জাফলং সীমান্ত, তাদের কাছে স্থানীয় প্রশাসন নিরুপায়,

Manual6 Ad Code

চাঁদাবাজ সাদ্দাম ও নাঈমের দখলে জাফলং সীমান্ত, তাদের কাছে স্থানীয় প্রশাসন নিরুপায়। 

বিশেষ প্রতিবেদক :: সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তের চোরাকারবারিদের কোন ভাবে ধমন করতে পারছেনা স্থানীয় প্রশাসন, বরং প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে সীমান্তে বেড়েই চলছে সাদ্দাম ও নাঈমুল,বাহিনীর বখরাবাজি।

স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে যেকোন কাজ করতে পিছপা হয় না এই বাহিনীর সদস্যরা।এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সীমান্ত এলাকার ব্যাবসায়ীসহ সাধারণ মানুষজন।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকার বল্লাঘাট জিরো পয়েন্ট, নলজুড়ী, আমস্বপ্ন, খাসিয়া পুঞ্জি, তামাবিল, সোনাটিলা, গুচ্ছ গ্রামসহ আশপাশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে সাদ্দাম ও নাঈমুল এই চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ । তারা প্রতারণার মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনেকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে ভারতীয় চোরাচালান থেকে চাঁদাবাজি, ছিনতাই সহ অনৈতিক কার্যকলাপে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।” রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে উক্ত চক্র স্থানীয় প্রশাসনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাদ্দাম ও নাঈমুল পুলিশ ও ডিবি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চোরাচালানীদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা আদায় করে যাচ্ছে। সাদ্দাম নাইমুল চক্রের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। আর এসবের মূল হোতা হচ্ছেন সাদ্দাম। গোয়াইনঘাট সীমান্ত দিয়ে আসা সকল চোরাচালান পণ্যের গড ফাদার সাদ্দাম ও নাঈমুল । ইতোমধ্যে চোরাচালনসহ বিভিন্ন অপকর্মের টাকায় গড়েছেন কোটি টাকার সম্পদ। দিন দিন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে এই সিন্ডিকেট।

Manual3 Ad Code

এখন পর্যন্ত চোরাচালানের পাশাপাশি প্রশাসনের লাইনম্যান হয়ে সিমান্তে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করে আসছে সাদ্দাম ও নাঈমুল বাহিনীর সদস্যরা। জাফলং এলাকার বল্লাঘাট জিরো পয়েন্ট, নলজুড়ী, আমস্বপ্ন, খাসিয়া পুঞ্জি , তামাবিল, সোনাটিলা, গুচ্ছ গ্রামসহ প্রত্যেকটি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে এই সাদ্দাম ও নাঈমুল সিন্ডিকেট ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে যায় মটরশুঁটি,স্বর্ণসহ নানা জিনিস পাচার হয়। আর বাংলাদেশে আসে চিনি, চা পাতা, নাসির বিড়ি, জিরা, ভারতীয় মদ, কসমেটিক্স, মোটরসাইকেল, ইয়াবা,অস্ত্র, কিট টিস্যু কাপড় সহ নানা পণ্য। প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার এলাকা একাই নিয়ন্ত্রণ করে এই সিন্ডিকেট। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই সিন্ডিকেট টাকার বিনিময়ে চোরাচালানের লাইন বিক্রি করে। ২০-২৫ লাখ টাকায় এই লাইন বিক্রি করা হয়। আর লাইনের মাধ্যমে চোরাচালানের সব মালামাল ভারতে প্রবেশ করে এবং আসেও।

Manual5 Ad Code

জাফলংয়ের সচেতন মহলের দাবি জাফলং সীমান্তের আতঙ্কের আরেক নাম চোরাচালান সিন্ডিকেট।

এই চক্রের সদস্যদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনতে পারলে ঘটতে পারে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এদিকে ক্রমেই বাড়ছে সাদ্দাম ও নাঈমুল সিন্ডিকেটের চাঁদাবাজি চোরাকারবারিদের চোরাচালান কর্মকান্ড।

এর ফলে বছরে সরকার হারাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব। এদিকে সীমান্তবাসীর উদ্ধৃতি দিয়ে একাধিক সুত্রে জানা গেছে, চোরাকারবারিরা সীমান্ত এলাকার বাজার দখল করার জন্য গভীর রাতে জাফলং বাজার,মামার বাজার,ও সীমান্তের রাস্তাঘাট জনশূন্য হলে ভারতীয় পণ্য পাচারের ঢল নামে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তামাবিল আমস্বপ্ন এলাকার প্রভাবশালী নাঈমুল ও সাদ্দাম চক্র চোরাই পথে আসা ভারতীয় পণ্য থেকে পুলিশ ও ডিবি সোর্স সেজে চোরাকরবারিদের নিকট থেকে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মালের টোপলা হিসেবে চাঁদা আদায় করে থাকে।

বর্তমানে জাফলং সীমান্তের তামাবিল,আমস্বপ্ন, সোনাটিলা,গুচ্ছ গ্রাম,সিঁড়িরঘাট,এলাকা দিয়ে যেসব ভারতীয় পণ্য ভারত থেকে আসছে তার মধ্যে মাদকদ্রব্য, চোরাই মোটরসাইকেল, চোরাই বাইসাইকেল, নাসির বিড়ি,চিনি,চা পাতা,জিরা, জর্জজেট শাড়ী, থ্রিপিচ, বিভিন্ন আইটেমের জুতা, হাড়ি পাতিল, বালিশের কভারসহ বিভন্ন প্রকার মালামাল। জাফলং সীমান্ত এলাকার এই চোরাই পথ দিয়ে পণ্যগুলো,মোটরসাইকেল, ইঞ্জিনভ্যান, নসিমন ডিআই গাড়িতে ভরে জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে চোরাকারবারিরা পাচার করে থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার সচেতন মহল বলেন এসব চোরাকারবারি ব্যবসায়ীরা বৈধ পথে ভারতীয় পণ্য সামগ্রী আনলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পেতেন। তিনি দাবী করে বলেন, স্থানীয় বিজিবির উচিৎ এসব অবৈধ চোরাই পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া।

এসব বিষয়ে জানতে সাদ্দাম ও নাইম এর ফোন নাম্বারে কল করে জানতে চাইলে সাদ্দাম এবং নাইম অশিকার করে বলেন আমরা এসবের মধ্যে জড়িত না আপনি ভালো করে তথ্য নিয়ে যাচাই করে নিউজ করুন ।

Manual3 Ad Code

এ বিষয়ে জানতে সাদ্দাম ও নাঈম এর টাকা উপার্জনের মেশিন লাইনম্যান জাহিদুলের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি জানান যে বর্তমানে মালামাল কম আসছে ভাই, এতে আমাদের ভাতার টাকাও হয় না, বিদায় আমরা কোনরকম জীবন জীবিকা রক্ষা করতেছি।

এ বিষয়ে আরো জানতে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার তোফায়েল এর সরকারি ফোন নাম্বারে কল দিলে হয়তো ব্যস্ত থাকায় কল রিসিভ করতে পারেননি বিদায় তাহার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এই নিউজ চলমান থাকবে,,,,

Manual8 Ad Code