চাটমোহরের ভূট্টা ক্ষেতে পড়েছিল শিশুর লাশ, পরিবারের দাবি হত্যা

প্রকাশিত: ৯:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২৫

চাটমোহরের ভূট্টা ক্ষেতে পড়েছিল শিশুর লাশ, পরিবারের দাবি হত্যা

পাবনার চাটমোহরের ভুট্টা ক্ষেত থেকে এক শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার রামপুর বিলের মধ্যে একটি ভূট্টা খেতের পাশে জুঁই খাতুনের বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মুখে ছিল পোড়া ক্ষতবিক্ষত চিহ্ন।

 

 

 

 

নিহত শিশু জুঁই পার্শ্ববর্তী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহিদুল ইসলামের মেয়ে ও গাড়ফা আজেদা নূরানী কিন্ডার গার্ডেন মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

 

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সোমবার বিকেলে দাদার বাড়ি যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় শিশু জুঁই। তারপর থেকে তার কোন সন্ধান পায়নি পরিবারের লোকজন। আজ সকালে রামপুর বিলের একটি ভূট্টা খেতে জুঁই খাতুনের বিবস্ত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখে পৃলিশকে জানায় স্থানীয়রা। এ সময় তার মুখে পোড়া ক্ষত বিক্ষত চিহ্ন ও পড়নের প্যান্ট গলায় পেঁচানো ছিল।

 

 

 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরজুমা আক্তার, চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম ও বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান।

জুঁইকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার পর মুখে অ্যাসিড দিয়ে পোড়ানো হয়েছে বলে ধারণা এলাকাবাসী ও স্বজনদের।

নিহত জুঁইয়ের মা মমিনা খাতুন বলেন, মেয়েটা গতকাল বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়। ও মাঝেমধ্যে পার্শ্ববর্তী তার দাদার বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাতেও সেখানে থাকে। কিন্তু গতকাল রাতে তার দাদার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে সে সেখানে যায়নি। তারপর থেকে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাইনি আমরা। আজ সকালে বাড়ির পাশে ভোটটা খেতে তার মরদেহ পাওয়া গেছে। যে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে আমরা তার বিচার চাই।

নিহতের দাদি জহুরা খাতুন বলেন, আজ সকালে মেয়েটিকে খুঁজতে খুঁজতে আমি ভুট্টা ক্ষেতে যাই। সেখানে এক পর্যায়ে জুঁই এর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। কে যে আমার নাতনীর সর্বনাশ করলো। আমরা তার ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, শিশুটির স্বজনরা লাশের পরিচয় সনাক্ত করেছেন। শিশুটির বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলায়। তবে লাশ উদ্ধার হয়েছে চাটমোহর মৌজায়। আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। মরদেহ উদ্ধার সহ আইনগত প্রক্রিয়া চলামন রয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে এ ঘটনার সাথে কে জড়িত তা জানতে পারেনি পরিবারের লোকজন ও পুলিশ। তবে ঘটনার ক্লু উদঘাটন ও জড়িত কে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ নিউজ