ছাত্রলীগ কর্মী রেজওয়ানুল এখন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২৫

ছাত্রলীগ কর্মী রেজওয়ানুল এখন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি

ছাত্রলীগ কর্মী রেজওয়ানুল এখন
ছাত্রদলের সহ-সভাপতি

সিলেটের কানাইঘাটে আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী বহুরূপী রেজওয়ানুল করিম চৌধুরী ওরফে রেজওয়ান এখন এমসি কলেজের নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি হয়েছেন। ৫ আগস্ট ২০২৪ এর আগে রেজওয়ান ছিলেন ছাত্রলীগ কর্মী, আর ৫ আগস্টের পর সে হয়ে গেল ছাত্রদল কর্মী। ১৬ বছর ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবেই ছিল তার পরিচয়। এই ১৬ টি বছর সে এমন কোন অপকর্ম নেই যে সে করেনি। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, জায়গা দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি সহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে সে।

 

রেজওয়ানুল করিম চৌধুরী (রেজওয়ান) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার উপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে থেকে হামলা করেছে। ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত সে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছাত্রলীগের কর্মী হওয়ায় তার ভয়ে অনেকেই নির্যাতিত হলেও তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায়নি। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করতো। এমনকি নিরীহ মানুষের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতো রেজয়ানুল করিম চৌধুরী। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা পালিয়ে গেলে রেজওয়ান বদলে ফেলে রাজনীতি পরিচয়। ছাত্রলীগ কর্মী থেকে হয়ে যায় ছাত্রদল কর্মী। কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের ঝিংগাবাড়ী হরিসিং মাটির গ্রামের ফারুক আহমদ চৌধুরীর ছেলে রেজওয়ানুল করিম চৌধুরী। শুধু রেজওয়ানুল নয় তার পরিবারের অনেক সদস্যই রয়েছেন যারা বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। রেজওয়ান আহমদ এর পিতা ফারুক আহমদ কানাইঘাট উপজেলার হরিসিং মাটির গ্রামের জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী ছিলেন। মোতাওয়াল্লী থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে এবং কিছুদিন আগে বিচার সালিসে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়। অন্যদিকে তার মামা কানাডায় থেকে রেজওয়ানকে দিয়ে এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের কানাডা নেওয়ার নামে প্রতারণা করে যাচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পূর্বে ছাত্রলীগ কর্মী রেজওয়ানুল করিম চৌধুরী ওরফে রেজওয়ান ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ রেখে এলাকায় ছাত্রদলের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধেও মামলার তালিকা লিস্ট করে দেয়। ‎সেই সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো এখনো অনেকের নামে মামলা বহাল রয়েছে। অনেকেই আইনীভাবে মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ২০১৯ সালে কানাইঘাট থানায় সি আর মামলা নং- ২৬৫ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াতের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়। ছাত্রদলের কমিটিতে ঢোকার আগে রেজওয়ানুল জামায়াতের যুব বিভাগের কমিটিতে আসার জন্য চেষ্টা করে। কিন্ত সেই কমিটিতে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে লভিং করে এমসি কলেজের নবনির্বাচিত কমিটিতে স্থান পায়।
রেজওয়ান এমসি কলেজের নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি হওয়ায় ‎কানাইঘাটের ঝিংগাবাড়ী এলাকায় সমালোচনা হচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও নেতাকর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ