জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ঘোষণা দিয়েছেন, ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করবে না। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে তিনি এই অবস্থান জানান।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি (ইথ্রি/ই৩) অভিযোগ তুলেছে, ইরান ২০১৫ সালের জেসিপিওএ চুক্তি ভঙ্গ করছে। ফলে তারা জাতিসংঘে ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া চালু করেছে, যার ফলে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিদ্ধান্ত না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইরানের ওপর আগের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হবে।
ইথ্রি জানিয়েছে—
জাতিসংঘের পরিদর্শকদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া,
সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত নিয়ে উদ্বেগ দূর করা,
এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসা—
এসব শর্ত মানলে তারা ছয় মাস পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রাখতে রাজি।
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘ভণ্ডামি ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে কাজ করার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ২০১৮ সালে একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে যাওয়া এবং চলতি বছরের জুনে ইরানে বিমান হামলার কারণেই ইরান প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে।
জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে পেজেশকিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন,
“একটি চুক্তি এখনো সম্ভব। হাতে কয়েক ঘণ্টার বেশি নেই। ইরানের ওপর নির্ভর করছে তারা বৈধ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবে কি না।”
এর আগে, মঙ্গলবার প্রচারিত এক ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন,
“এটা কোনো আলোচনার প্রক্রিয়া নয়, এটা চাপিয়ে দেওয়া নির্দেশ।”
নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে—
ইরানের বিদেশি সম্পদ জব্দ হবে,
অস্ত্র বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে,
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিসহ একাধিক খাতে কঠোর শাস্তি আরোপিত হবে।