সিলেট ২৮শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
জাফলং সীমান্তে কোনভাবেই থামছে না লুৎফর ও শাহীন বাহিনীর চোরাচালান !
নিজস্ব প্রতিবেদক::- কোনো কিছুতেই যেন থামছে না সীমান্তের চোরাচালান। প্রতিদিনই আসছে কোনো না কোনো ভারতীয় অবৈধ পণ্য। কখনো নিম্নমানের চা-পাতা, চিনি কখনো ভারতীয় মোবাইল সেট, কখনো জিরা, গাড়ির টায়ার, নিম্নমানের ওষুধ, সানগস্নাস, হাতঘড়ি, গাড়ির যন্ত্রাংশ, শাড়ি, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, সিএনজি গাড়ির টায়ার-টিউব, ফেনসিডিল, গাঁজা, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভারতীয় মদসহ প্রায় ডজনখানেক পণ্য। গতকয়েকদিন ধরেই, পুলিশ, বিজিবি, উপজেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ করে।
এর সাথে জড়িত চোরাকারবারিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এতকিছুর পরেও সীমান্ত যেন অনেকটাই অরক্ষিত হয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না সীমান্ত চোরাচালান। অবৈধ পণ্য আমদানি রপ্তানি চলছেই। আর ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে সীমান্তের গডফাদাররা।
চোরাকারবারিদের নিকট থেকে এই চাঁদা আদায় করছে। যে কারণে ওই এলাকা দিয়ে দিনে ও রাতের আঁধারে হাজার লাখ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য পাচার হয়ে আসছে। ফলে সীমান্তবর্তী বাজারগুলোতে দেশীয় পণ্য অবিক্রিত হয়ে পড়ায় সরকার মোটা অংকের টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
এদিকে সীমান্তবাসীর উদ্ধৃতি দিয়ে একাধিক সুত্রে জানা গেছে, চোরাকারবারিরা সীমান্ত এলাকার বাজার দখল করার জন্য গভীর রাতে জাফলং বাজার,মামার বাজার, ও সীমান্তের রাস্তাঘাট জনশূন্য হলে ভারতীয় পণ্য পাচারের ঢল নামে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তামাবিল আমস্বপ্ন এলাকার প্রভাবশালী লুৎফুর মিয়া, এম শাহীন, সেলিম মিয়া, চোরাই পথে আসা ভারতীয় পণ্য থেকে পুলিশ ও বিজিবির সোর্স সেজে চোরাকরবারিদের নিকট থেকে বিজিবি ও পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মালের টোপলা হিসেবে চাঁদা আদায় করে থাকে। বর্তমানে জাফলং সীমান্তের তামাবিল,আমস্বপ্ন, সোনাটিলা, গুচ্ছগ্রাম, সিঁড়িরঘাট, এলাকা দিয়ে যেসব ভারতীয় পণ্য ভারত থেকে আসছে তার মধ্যে মাদকদ্রব্য, চোরাই বাইসাইকেল, পাতার বিড়ি, জর্জজেট শাড়ী, থ্রিপিচ, বিভিন্ন আইটেমের জুতা, হাড়ি পাতিল, বালিশের কভারসহ বিভন্ন প্রকার মালামাল। জাফলং সীমান্ত এলাকার এই চোরাই পথ দিয়ে পণ্যগুলো,মোটরসাইকেল, ইঞ্জিনভ্যান, নসিমন ডিআই গাড়িতে ভরে জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে চোরাকারবারিরা পাচার করে থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার সচেতন মহল বলেন এসব চোরাকারবারি ব্যবসায়ীরা বৈধ পথে ভারতীয় পণ্য সামগ্রী আনলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পেতেন। তিনি দাবী করে বলেন, স্থানীয় বিজিবির উচিৎ এসব অবৈধ চোরাই পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া। আরো জানান এবিষয়ে সিলেট বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হস্তক্ষেপ নিলে দ্রুত এসব চোরাচালান প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এসব বিষয়ে তামাবিল বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি মাত্র কয়েকদিন হলো তামাবিল বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। তবে লুৎফুর সহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিজিবির নাম ভাঙিয়ে সীমান্তে চাঁদা আদায় করার তথ্য পেয়েছি। খুব শিগগিরই তাদেরকে চিনহৃত করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক,
উপদেষ্টা : খান সেলিম রহমান, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা, ঢাকা ।
উপদেষ্টা : মোহাম্মদ হানিফ,
প্রকাশক : মোঃ ফয়ছল কাদির,
সম্পাদক : মাছুম কাদির,
সিলেট অফিস : রংমহল টাওয়ার(৪র্থ তলা) বন্দরবাজার সিলেট,৩১০০। মোবাইল নং-০১৭১৮৬২০২৯১,
ই-মেইল : Foysolkadir503@gmail.com,
Design and developed by DHAKA-HOST-BD