২২শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২রা রজব, ১৪৪৭ হিজরি

জামায়াতের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

admin
প্রকাশিত ১৬ জুলাই, বুধবার, ২০২৫ ২২:০২:৩৭
জামায়াতের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

Manual5 Ad Code

জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, সিলেট জেলা আমীর ও সিলেট-১ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেছেন- ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদরা বুক পেতে না দাঁড়ালে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ভিন্ন হতো। আবু সাঈদের শাহাদাত ছিলো ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের চূড়ান্ত সুচনা কাল।

 

 

Manual5 Ad Code

 

 

 

 

 

পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমাতে গণহত্যার নৃশংস মহড়া শুরু করেছিল। যা ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শক্তির চূড়ান্ত পতন নিশ্চিত করে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদ ও আহতরা দেশ মাতৃকার গর্বিত সন্তান। তাদের শাহাদাত ও ত্যাগ বৃথা যেতে দেয়া হবেনা। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করলে এই জাতি আর কোন দিন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেনা। শহীদ আবু সাঈদসহ জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের জন্য সুস্থতা কামনা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নগরীর বন্দরবাজারে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. নূরুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে ও সহকারী সেক্রেটারী জাহেদুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, বায়তুল মাল সেক্রেটারী মুফতী আলী হায়দার, জামায়াত নেতা মাওলানা এটিএম শামসুদ্দিন, মুহাম্মদ আজিজুল ইসলাম ও এখলাছুর রহমান প্রমূখ।

Manual3 Ad Code

 

 

Manual2 Ad Code

 

 

Manual7 Ad Code

 

 

 

আলোচনা সভা শেষে শহীদ আবু সাঈদসহ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণকারী সকল ছাত্র-জনতার রুহের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে মহানগর নায়েবে আমীর ড. নূরুল ইসলাম বাবুল বলেন, শহীদ আবু সাঈদদের স্বপ্ন ছিল একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। আর জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদের পতনের পরও দেশে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও খুন কোনভাবেই কাম্য নয়। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এই দেশে আর নতুন কোন ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে দেয়া যাবেনা।