সাকি বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, জনগণ একটা দৃশ্যমান বিচার দেখতে চায়। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘বিচার বিভাগকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে।’’ বিচারব্যবস্থা যে গতিতে এগোচ্ছে, সেখানে যাতে কোনো দীর্ঘ না হয় ও আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকে, সে বিষয়ে তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘সংস্কারের ক্ষেত্রেও আমরা বলেছি, ঐকমত্য কমিশন যেহেতু ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় নিয়েছে, তাই এই ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে যেসব ঐক্য হয়, সেসব জাতীয় সনদ আকারে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশিত করতে হবে। এটাই সংস্কারের পদ্ধতি। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন, ‘‘এর বাইরে অন্য কোনো পদ্ধতি গ্রহণের সুযোগ নেই।”’
জুলাই অভ্যুত্থানের বিষয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে সাকি বলেন, ‘জুলাইয়ের অবস্থান সবার সম্মিলিত অবদানে তৈরি হয়েছে। তবে কোনো একটি পক্ষ এমনভাবে জুলাইয়ের ক্রেডিট দাবি করছে, তারা এমনটা বোঝাতে চাচ্ছে যে একদল জুলাইকে ধারণ করে, আরেক দল করে না। এসব বিষয়ে আমরা সরকারকে সচেতন থাকতে বলেছি।’
বিএনপি তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাকি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের প্রতিনিধিত্বকারী তিনজন এখানে উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন, তার মধ্যে একজন একটা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। বাকি দুই উপদেষ্টা এখনো বিদ্যমান। আমরা বলেছি, বাকি যে দুজন তাঁদের কোনো রাজনৈতিক পরিকল্পনা আছে কি না। যদি থাকে, তাহলে তাঁদের একটা সময় এখান থেকে সরে যেতে হবে। যেহেতু এটার রাজনৈতিকভাবে গঠিত সরকার না, তাই রাজনৈতিক মোটিভ নিয়ে এখানে থাকাটা নিয়ম অনুযায়ী ঠিক হবে না।’