জুড়ীর এক সময়ের মেধাবী ছাত্রী মাহমুদা আট বছর ধরে শিকল বন্দী,

প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২৫

জুড়ীর এক সময়ের মেধাবী ছাত্রী মাহমুদা আট বছর ধরে শিকল বন্দী,

মোঃ মাছুম আহমদ, জুড়ী (প্রতিনিধি) মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের পূর্ব বেলাগাঁও গ্রামের এক অসহ্য বেদনার নাম আজ মাহমুদা বেগম। বয়স মাত্র ২৮, অথচ গত আট বছর ধরে শিকলে বন্দী অবস্থায় কাটছে তার জীবন।

 

 

 

 

 

 

 

এক সময়ের মেধাবী এই ছাত্রীটি আজ নিজ ঘরেই বন্দী, সমাজ থেকে ছিটকে পড়া এক নীরব আর্তনাদের প্রতিচ্ছবি। মাহমুদার বাবা মোস্তফা মিয়া ও, মা নিরবে চোখের জল ফেলেন। কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন,মেয়েটা এক সময় কত স্বপ্ন দেখত, ডাক্তার হবে বলত। কিন্তু আজ সে নিজেকেই চিনতে পারে না। আমরা গরীব মানুষ, তার চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য নেই।” পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাহমুদা ২০১৬ সালে এসএসসি পাশ করে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে সিলেট শহরে গিয়েছিলেন। খালাতো বোনের পরামর্শে কলেজে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অর্থাভাবে তা আর সম্ভব হয়নি।

 

 

 

 

 

ভেঙে পড়েন মানসিকভাবে। বাড়ি ফিরে আসা মাত্র কয়েক দিনের মাথায় শুরু হয় তার মানসিক বিপর্যয়ের যন্ত্রণা। দিনের পর দিন তার আচরণ হয়ে ওঠে অস্থির ও বিপজ্জনক। কাউকে না বলে হঠাৎ তেড়ে আসতেন আক্রমণের উদ্দেশ্যে। পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে শিকলে বেঁধে রাখেন — ঘরের এক কোণে বন্দী এক তরুণীর নাম মাহমুদা। স্থানীয়রা বলেন,মাহমুদাকে ছোটবেলা থেকেই — হাসিখুশি, ভদ্র আর অসম্ভব মেধাবী একটা মেয়ে ছিল সে। আজ তাকে শিকলে বাঁধা দেখে বুকটা ভেঙে যায়। তাই আমি সকল হৃদয়বান মানুষের কাছে অনুরোধ জানাই—এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ান, মাহমুদার স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে তুলুন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ একটি ঘরের অন্ধকার কোণে শিকলে বাঁধা অবস্থায় নিশ্চুপ বসে থাকা এক যুবতী — কণ্ঠে ভাষা নেই। চারদিকে শুধুই নীরবতা আর হাহাকার। দেশ-বিদেশের হৃদয়বান ব্যক্তিদের প্রতি পরিবারের আকুতি — “আমাদের মেয়েটিকে বাঁচান, তাকে চিকিৎসা দিন, তাকে ফিরিয়ে দিন তার হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলো। মানবিক সহযোগিতার জন্য যে কেউ পরিবারটির পাশে দাঁড়ালে হয়তো এক নতুন ভোরের সূচনা হতে পারে। মাহমুদার বাবার মোবাইল বিকাশ পারসোনাল 01767744899

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ