জুয়াড়ীরা পুলিশকে তোয়াক্কাই করছেনা-যৌথ বাহিনীর সহযোগীতা নিতে আপত্তি কোথায়

প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪

জুয়াড়ীরা পুলিশকে তোয়াক্কাই করছেনা-যৌথ বাহিনীর সহযোগীতা নিতে আপত্তি কোথায়

জুয়াড়ীরা পুলিশকে তোয়াক্কাই করছেনা-যৌথ বাহিনীর সহযোগীতা নিতে আপত্তি কোথায় ?

 

বারুদ প্রতিবেদক :: ৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে এবং পুলিশের সামর্থহীনতার কারনে সিলেটের জুয়ার বোর্ডের ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আইন শৃংখলা বাহিনীসহ কাউকেই তারা তোয়াক্কা করছেনা। সিলেট এসএমপির ক্ষিণ সুরমা থানার আওতাধীন ২৬নং ওয়ার্ডের ভার্থখলা কুমিল্লা পট্টিতে রয়েছে বড় ধরনের জুয়ার বোর্ড, এটি পরিচালনা করে অন্তর নামের একজন, তীর, ঝান্ডমুন্ডসহ বিভিন্ন ধরনের আইটেমে এখানে জুয়াচলে দিনরাত। এই কুমিল্লা পট্টিতে আইনশৃংখলা বাহিনী প্রবেশ করতে ভয় পায়, এখানে রিতীমতো একটি বাহিনী রয়েছে, যাদের হাতে বিভিন্ন সময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন এ্যাশল্ট হতে হয়।

প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ও সালিশ বিচারক হাজী মইনুল ইসলামের ভাড়াটে এরা। যেকারনে এখানকার বাসিন্দারা অপরাধমূলক যেকোনো ধরনের কাজ করেও পুলিশ এ্যাশল্ট করতে তাদের কোনো অসুবিধা হয়না। মোগলাবাজার থানার কুচাই এ হায়রের কলোনী হিসেবে পরিচিত নদীর পারে আরেকটি বড় ধরনের জুয়ার আসর চলছে। এই জুয়ার আসরটি এক সময় ছিলো কদমতলীর ফেরীঘাট এলাকায়, পুরো সিলেট জেলাসহ আস-পাধশ থানা এলাকার চিহ্নিত জুয়াড়ীরা এই জুয়ার আসরের খেলোয়াড়। ঘরের মালিক হায়দর নিজেই জানিয়েছে হারুন ও আল আমীন জুয়ার আসরটি নিয়ন্ত্রন করে। ক্ষিণ সুরমা থানার আওতাধীন তেতলী এলাকায় ইয়াসিন নামের আরো একজন সেখানে একটি জুয়ার বোর্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

দক্ষিণ সুরমা থানার কামাল বাজার এলাকায় রয়েছে বড় ধরনের আরো একটি জুয়ার আসর। বেলাল নামের একজন সেই জুয়ার বোর্ডের মাীলক হিসাবে পরিচালনা করছে। দক্ষিণ সুরমা থানাধীন, রেলগেইট সংলগ্ন ডগেরপার যাওয়ার রাস্তায় রয়েছে ফয়েজের তীর জুয়ার বোর্ড, কাউন্সিলর পিন্টুর ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছিলো উক্ত জুয়ার বোর্ডটি। লাকসামী ফারুক নামের একজন আরেকটি তীর জুয়ার বোর্ড চালিয়ে যাচ্ছে মারকাজ পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় কাজির বাজার ব্রীজের গোড়ায়। দক্ষিণ সুরমা থানার পলিটেকনিক রোডে খোজারখলা মারকাজ মসজিদের গেইটের বিপরীতে আরেকটি তীর জুয়ার বোর্ড চালিয়ে যাচ্ছে সাধু নামের এক ব্যক্তি।

টেকনিকেল রোডে ডিপো সংলগ্ন খেয়াঘাট ও সাধুর বাজার এলাকায় জামাল নামের আরেকটি তীর জুয়ার বোর্ড চালিয়ে যাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এসএমপির কোতয়ালী থানাধীন বিভিন্ন এলাকায়ও বেশ কটি জুয়ার বোর্ডে জুয়া খেলা চলছে জমজমাট ভাবে। কালীঘাট বস্তাপট্টির পাশে দুতলায় রয়েছে শরীফের জুয়ার বোর্ড, কালীঘাট নদীর পাড়ে তোরাব আলীর বোর্ড, কালীঘাট পিয়াজ পট্টিতে রয়েছে মিজানের তীর জুয়ার বোর্ড। কোতয়ালী থানাধীন সোবহানীঘাট কাঁচা বাজারে পিছনে নাছিমের বোর্ড নামে একটি তীর ও ঝান্ডুমন্ডুর জুয়ার বোর্ড চালু রয়েছে। এই বোর্ডের মুল মালিক হচ্ছে সিলেটের অন্যতম আলোচিত জুয়াড়ী ফায়কুল ইসলাম ওরফে সাইফুল, সাথে আছে তার শ্যালক কাসেম,চালিবন্দর হোসেন, কোতয়ালী থানাধীন তেলী হাওয়র¯’ নন্দীতা সিনেমা হলের কাছেও রয়েছে একটি তীর জুয়ার বোর্ড, কাজির বাজার মাছ হাটার পার্শবর্তী স্থানে রয়েছে আরো একটি জুয়ার বোর্ড। এছাড়াও কোতয়ালী থানার আওতাধীন লামাবাজার ফাঁড়ী এলাকার বাঘবাড়ী এতিম স্কুলের সামন, মেডিকেল টু মদীনা মার্কেটের মেইন রোডের কাঁচা বাজারের সামনে রয়েছে শিমুলের শিলং তীর জুয়ার বোর্ড, ভাতালীয়া এলাকায় শাহজানের ভাই রুবেলের শীলং তীর জুয়ার বোর্ড, ঘাসিটুলা বেতের বাজারে জাকিরের তীর জুয়ার বোর্ড, শামীমাবা এলাকার ১ নং রোডে সুরুজ আলীর জুয়ার বোর্ড। কোতয়ালী থানাধীন নরশিং টিলা এলাকায় ইয়াসিন ও গোলাপের তীর জুয়ার বোর্ড, মনিকা সিনেমা হলের সামনে লিটন ও রাজু তীর জুয়ার বোর্ড চলছে জমজমাট ভাবে।

মুলত: আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তথা পুলিশের সাম্প্রতিক অচলাবস্থা ও সামর্থহীনতার সুযোগ নিয়ে জুয়াড়ীরা তারে অপতৎপরতা চালিয়ে যাবার সাহস পাচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কিন্তু সচেতন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এসব জুয়ার বোর্ড ও জুয়াড়ীদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে যেতে পুলিশ কেনো যৌথবাহিনীর সহযোগীতা নিচ্ছেনা বা নিতে পারছেনা।

সূত্র– বাংলার বারুদ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ