জৈন্তাপুর উপজেলায় থেমে নেই ভারতীয় চোরাচালান

প্রকাশিত: ১০:৩৮ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২৫

জৈন্তাপুর উপজেলায় থেমে নেই ভারতীয় চোরাচালান

জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি : মেঘালয়ে রাত্রীকালিন কারফিউ জারির পরও জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে অব্যাহত রয়েছে ভারতীয় চোরাচালান। বিশেষ করে কালিঞ্জিবাড়ী, জালিয়াখলা, নয়াগ্রাম, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, কমলাবাড়ী, টিপরাখলা, ফুলবাড়ী, ঘিলাতৈল, তলাল, ডিবির হাওর, কেন্দ্রি, কেন্দ্রি হাওর, মিলাটিলা, ছাগল খাউরী, আদর্শগ্রাম, বাননঘাট, শ্রীপুর, মোকামপুঞ্জি, শান্তিমাইর জুম, মোকামবাড়ী ও নলজুরী (জৈন্তাপুর) অংশ সহ অন্তত ৩০টি সীমান্তপথ দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছে গরু-মহিষ, কসমেটিক্স, ভারতীয় শাড়ি, আমদানী নিষিদ্ধ নাছির বিড়ি, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট, মোবাইল ফোন, লেহেঙ্গা, চকলেট, ওষুধ, টাটা গাড়ির যন্ত্রাংশ, চিনি, সুপারী, নিম্নমানের চা, সুপারী ও মাদকদ্রব্য সামগ্রী, মটর সাইকেল।

 

 

স্থানীয়রা জানান, প্রতিরাতে কারফিউ জারি থাকলেও সীমান্তের অরক্ষিত অংশ দিয়ে চোরাচালন প্রবেশ বন্ধ হয়নি। গোপনে সক্রিয় রয়েছে সংঘবদ্ধ কয়েকটি চক্র, যারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য দেশের বাজারে ঢুকিয়ে দিচ্ছে।
বিশেষ করে ফেন্সিডিল, কসিড্রিল, ইয়াবা ও মদসহ মাদকদ্রব্য প্রবেশে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সীমান্ত এলাকার সচেতন মহল। এছাড়া মানহীন ভারতীয় পণ্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশীয় ব্যবসায়ীরাও।

 

স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর বিস্তীর্ণ অঞ্চল হওয়ায় নজরদারিতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তবে আমরা চোরাচালান রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।

অপরদিকে সীমান্তবাসীদের দাবি, চোরাচালান রোধে শুধু রাতের কারফিউ যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারি, স্থায়ী বিজিবি ক্যাম্প এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো। সীমান্ত অঞ্চলে চোরাচালান রোধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।

সর্বশেষ নিউজ