সিলেট ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
জৈন্তাপুর সীমান্তে চোরাচালানের সর্গরাজ্য গরু,মহিষ, মাদকদ্রব্য সহ অসংখ্য অবৈধ পণ্য হচ্ছে আমদানি রপ্তানি ?
ক্রাইম প্রতিবেদক:- জৈন্তাপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ভারতের সীমান্তে। এসব ইউনিয়নের সীমান্তের কোন পথেই থেমে নেই চোরাকারবার। যে কোন সময় বাংলাদেশে প্রবেশ করছে ভারতীয় গরু মহিষ আমদানী নিষিদ্ধ শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, বিভিন্ন ব্যান্ডের মদ, ইয়াবা, ভারতীয় কসমেটিক্স, জুতা, নিম্নমানের চা-পাতা, মোবাইল হ্যান্ডসেট, শাড়ী এবং । এদিকে, জৈন্তাপুর উপজেলায় সীমান্ত পথে চোরাচালানে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে লালাখাল ও ৪ নং বাংলাবাজার। সরেজমিনে দেখা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার নলজুরী, আলুবাগান, শ্রীপুর, কেন্দ্রী, ডিবির হাওর, ডিবির হাওর আসামপাড়া, ঘিলাতৈল, ফুলবাড়ী, টিপরাখলা, গোয়াবাড়ী (চান্দঘাট বস্তির নিচ), বাইরাখেল, জালিয়াখলা, লালমিয়ার টিলা, অভিনাশের টিলা, জঙ্গীবিল, আফিফানগর, বাঘছড়া এবং বালিদাঁড়া ও সিঙ্গারীর পাড় এলাকা দিয়ে প্রতিদিন সীমান্তের ওপারে যাচ্ছে চোরাকারবারী দলের সদস্যরা। সেখান থেকে নিয়ে আসে ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট,বিভিন্ন ব্যান্ডের মদ, ইয়াবা, ভারতীয় কসমেট্রিক্স, জুতা, নিম্নমানের চা-পাতা, মোবাইল হ্যান্ডসেট, শাড়ী এবং গরু মহিষ।
ভারতীয় এসব পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসতে তাদের রয়েছে কয়েকটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র। চক্রের সদস্যরা সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর নির্ধারিত সোর্সনামধারী (লাইনম্যান) বাহিনীর মাধ্যমে ভারত থেকে নিয়ে আসছে এসকল অবৈধ পণ্য । যার ফলে স্থানীয় প্রশাসন কোন প্রকার বাঁধার সম্মুখিন হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা, ছেলে মেয়েদের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত না থাকায় তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিতে যান না। সংশ্লিষ্ট বাহিনীর নিকট তথ্য প্রদান করলে দ্রুত চোরাকারবারী চক্রের সদস্যদের হাতে চলে যাচ্ছে তাদের পরিচয়। এ কারণে সীমান্তের বাসিন্দারা তথ্য দিয়ে সহায়তা করে না। সীমান্ত এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করেতে গেলে বাহিনীর সদস্যদের নানা বাঁধার সম্মুখিন হতে হয় সংবাদকর্মীদেরও।
লালাখাল সীমান্তের আফিফানগর চা-বাগানে গোপনে অবস্থান নিলে দেখা মিলে চোরাকারবারী দলের সদস্যরা দিনে দুপরে বীরদর্পে আমদানি নিষিদ্ধ শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি ও সিগারেট এবং কসমেটিক্সের চালান নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। লালাখাল সীমান্তে অনেক এলাকা দূর্গম ও পাহাড়ী অঞ্চল হওয়ায় চোরাচালানের নিরাপদ জোন হয়ে উঠেছে। বাইরাখেল, জালিয়াখলা, লালমিয়ার টিলা, অভিনাশের টিলা, জঙ্গীবিল, আফিফানগর, বাঘছড়া, বালিদাঁড়া এবং সিঙ্গারীরপাড় এলাকা। এসব এলাকা দিয়ে নিরাপদে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে চোরাকারবারী দলের সদস্যরা।
স্থানীয়রা আরোও জানান, বাইরাখেল ও সাইনবোর্ড হয়ে সারীঘাট রোড, কামরাঙ্গী স্কুল ঘাট ও সাইনবোর্ড হয়ে সারীঘাট রোড, জঙ্গবিল ও গঙ্গারজুম হয়ে বটতলা বাজার টু থুবাং রোড, ইটাখাল ও বনপাড়া হয়ে দরবস্ত বাজার রোড, ইটাখাল ও বনপাড়া হয়ে চতুল বাজার রোড, বড় নয়াগাং নদী, কাটাগাং নদী, সারী নদী দিয়ে বর্তমানে চোরাকাবারী দলের সদস্যরা মালামাল পরিবহণ করে নিয়ে আসছে।
নিজপাট ইউপির সদস্য, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি সেলিম আহমদ বলেন, চোরাকারবারীরা তাদের পণ্য সমুহ পিকআপ (ডিআই) ট্রাকে দ্রুত গতিতে আনা-নেওয়ার সময় আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন সময় আহত হচ্ছেন। চারিকাটা ইউপি সদস্য মোঃ হাজির আলী বলেন, সীমান্ত এলাকা পুরো দমে চোরাকারবারীদের হাতে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে মাদক দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমরা সীমান্ত এলাকার চোরাচালান বন্ধ চাই।
চারিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সুলতান করিম বলেন, আমার ইউপি উপর দিয়ে অহরহ চোরাইপণ্য বাংলাদেশে আসছে। চোরাকারবার নিয়ন্ত্রনে আইন শৃঙ্খলা সভায় বার বার বলার পরও তা থামানো যাচ্ছে না। তিনি সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন মহলের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক,
উপদেষ্টা : খান সেলিম রহমান, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা, ঢাকা ।
উপদেষ্টা : মোহাম্মদ হানিফ,
প্রকাশক : মোঃ ফয়ছল কাদির,
প্রধান সম্পাদক : ডাঃ বাপ্পি চৌধুরী,
সম্পাদক : মাছুম কাদির,
সিলেট অফিস : রংমহল টাওয়ার(৪র্থ তলা) বন্দরবাজার সিলেট,৩১০০। মোবাইল নং-০১৭১৮৬২০২৯১,
ই-মেইল : Foysolkadir503@gmail.com,
Design and developed by M-W-D