রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় শূকর বিক্রির টাকার ভাগ নিয়ে এক গ্রাম্য মাতব্বরকে (আকতার হোসেন ওরফে ভোলা) একঘরে রাখার হুমকি দিয়েছে স্থানীয় সমাজের কয়েকজন মাতব্বর। অভিযোগ অনুযায়ী, ভোলা শূকর বিক্রির টাকার ভাগ নেননি তা প্রমাণ করতে পারলে তৃতীয় দফার সালিস বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২৩ সালে। ভোলা তাঁর বসতভিটায় আশ্রয় দেওয়া আদিবাসী পরিবারের হাতে তিনটি শূকর বিক্রি হয়। পরে শিবপুর ও পাশের তিন গ্রামের সামাজিক সালিসে ৮ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য হয়। এর মধ্যে ৫ হাজার টাকা মালিকপক্ষে প্রদান করা হয় এবং বাকি ২ হাজার ৮০০ টাকা বিক্রিতে যুক্ত পরিবারদের দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোলা নিজের দাবির পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারলে সালিস বৈঠকে শাস্তি এড়াতে পারবেন। তবে প্রমাণে ব্যর্থ হলে সামাজিক রীতি অনুযায়ী তাঁকে একঘরে করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেননি, তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।