
২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০০ রানের প্রশ্ন এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। ৩০০ রান যে সম্ভব, সেটি আগেই দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে-নেপাল। তবে এবার শক্ত প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ৩০০ পার করেছে ইংল্যান্ড।
আবুধাবিতে ইংল্যান্ড ২ উইকেটে তুলেছে ৩০৪ রান। পাওয়ার প্লেতে এসেছে ১০০ রান। ফিল সল্ট খেলেছেন ৬০ বলে অপরাজিত ১৪১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস, স্ট্রাইক রেট ২৩৫। বিশ্ব ক্রিকেটে যখন এভাবে ব্যাটিং রূপ বদলাচ্ছে, তখন বাংলাদেশের ব্যাটিং রয়ে গেছে বহু পুরোনো ধাঁচে।
একই দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ টস হেরে ব্যাট করতে নেমেই ধাক্কা খায়। ইনিংসের প্রথম দুই ওভারেই শূন্য রানে ২ উইকেট হারায় দলটি—টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যা বাংলাদেশের জন্য প্রথম। পাওয়ার প্লেতে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৩০ রান। রানরেট ৫, যেখানে আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে প্রায়ই উঠে ১০ রান গড়ে।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক স্বীকার করেছেন, ‘পাওয়ার প্লেতেই আমরা ম্যাচ হেরেছি।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাওয়ার হিটিং কোচ আনা ও সিলেটের উইকেটে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েও ব্যাটাররা এখনও বড় শট খেলার মানসিকতা ও অভ্যাস তৈরি করতে পারেননি। ফলে এশিয়া কাপে বড় রান গড়ার অভ্যাস বা বড় লক্ষ্য তাড়া করার অভিজ্ঞতা তৈরি হয়নি।
টি-টোয়েন্টির খেলার ধরন যেখানে প্রতিদিন বদলাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ যদি এখনও ‘টুকটুক’ ব্যাটিংয়ের ঘেরাটোপে থাকে, বড় কিছু অর্জন সত্যিই কঠিন হয়ে পড়বে।