আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
টুঙ্গিপাড়ায় আগুন দিয়ে বিক্ষোভ
আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা–কর্মী শেখ রাসেল শিশু পার্কের সামনে বিক্ষোভ-মিছিল বের করেন। প্রায় ২০ মিনিট তাঁরা সড়কে অবস্থান করে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তাঁরা পালিয়ে যান।
ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে টানা উত্তপ্ত পরিস্থিতি
মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ কর্মীদের বিক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে—
-
দোলা পেট্রলপাম্পের সামনে: কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী বিক্ষোভ শেষে কাঠ–পাটখড়ি জ্বালিয়ে পালিয়ে যান।
-
ডুমদিয়া এলাকায়: একই কায়দায় বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগ।
-
৭ মার্চ চত্বরের বিপরীত মাঠে: দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েকজন লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ; পুলিশের খবর পেয়ে দ্রুত সরে যায়।
কাশিয়ানীতে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ
সকালে কাশিয়ানী উপজেলার তিলছড়া বাজার এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে ঢাকা–খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে দুই পাশে যানবাহন আটকা পড়ে প্রায় ২০ মিনিট। পরে পুলিশ এসে গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
কাশিয়ানী থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন—
“কিছু লোক অবরোধের চেষ্টা করেছিল; পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। অবরোধ কার্যক্রম সফল হয়নি।”
জেলায় কঠোর নিরাপত্তা
শেখ হাসিনার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে পুরো গোপালগঞ্জে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জে নীরবতা নেমে আসে
রায় ঘোষণার পর জেলা শহরে নেমে আসে নিস্তব্ধতা। স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক নেতারা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেন।