মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধ নিয়ে ঘোষিত তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার জবাব দেওয়ার জন্য হামাসকে ৩ থেকে ৪ দিন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।
পরিকল্পনার মূল বিষয়সমূহ
-
যুদ্ধবিরতি কার্যকর
-
হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি
-
হামাসের নিরস্ত্রীকরণ
-
ধাপে ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার
-
যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ গঠন, যার নেতৃত্বে থাকবেন ট্রাম্প নিজে
ট্রাম্পের বক্তব্য
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন:
“আমি হামাসকে ৩–৪ দিন সময় দিচ্ছি। বাকি সবাই এতে রাজি—আরব দেশ, মুসলিম দেশ, ইসরায়েল। এখন শুধু হামাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি। যদি না নেয়, তবে এর পরিণতি হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।”
নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পরিকল্পনাটিকে সমর্থন করে বলেন:
“এটি আমাদের যুদ্ধের লক্ষ্য পূরণ করবে। তবে হামাস যদি প্রত্যাখ্যান করে বা মেনে নিয়ে বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে ইসরায়েল একাই কাজ শেষ করবে।”
হামাসের অবস্থান
একটি ফিলিস্তিনি সূত্র এএফপিকে জানায়, হামাস রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। দেশ ও দেশের বাইরে সমন্বিতভাবে এই আলোচনা চলছে। জটিলতার কারণে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
প্রেক্ষাপট
-
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২১৯ জন নিহত হন।
-
পাল্টা অভিযানে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
-
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৬,০৫৫ জন নিহত হয়েছেন।