ডাকসু নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আবদুল কাদেরের

প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫

ডাকসু নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আবদুল কাদেরের

ঢাকা, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর): ডাকসু নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবদুল কাদের। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

আবদুল কাদের অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্ষমতার হিস্যার ভাগাভাগি করছে। তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম ভোটকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে কারসাজি করেছেন, আর ছাত্রদল বাইরে থেকে একই কাজ করেছে।

তিনি বলেন, “একটা অথর্ব, আনাড়ি নির্বাচন কমিশন সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখেছি, ভেতরে সাদিক কায়েম মেকানিজম করেছে, বাইরে ছাত্রদল করেছে। কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা কেউ মানেনি।”

কাদের জানান, তিনি বারবার করে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া পাননি। তাঁর অভিযোগ, টিএসসিতে ব্যালট পেপারে সাদিক কায়েম ও ফরহাদের নাম আগে থেকেই পূর্ণ করা ছিল। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার গোলাম রব্বানীকে জানালে তিনি ব্যালট বদলে দেওয়ার মাধ্যমে সমাধান করেছেন বলে জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা ক্ষমতার ভাগাভাগির রাজনীতিতে নিমজ্জিত। ভিসি, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর সবাই ভাগাভাগির মাধ্যমে পদ বণ্টন করেছেন। অনেকে জামায়াতপন্থী, অনেকে বিএনপিপন্থী। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সম্পূর্ণ উপেক্ষিত হয়েছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, উপাচার্য একটি সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম (এসএমটি) গঠন করে প্রক্টরকে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে বসিয়েছেন, যা জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ। প্রক্টর শৃঙ্খলা কমিটির নামে হলগুলোতে ছায়া সরকার চালাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

সব মিলিয়ে আবদুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্তরিকভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা ও দলীয় প্রভাবের কারণে এ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি করেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ নিউজ