
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আর মাত্র তিন দিন বাকি। প্রার্থীদের প্রচার এখন তুঙ্গে। এরই মধ্যে সমঝোতা ও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভোটের মাঠে উত্তাপ ছড়িয়েছে।
‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’-এর জিএস প্রার্থী মাহিন সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন ঘোষণা করেছেন। মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাহিন বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিকে সমন্বিত রাখতেই এ সিদ্ধান্ত। আবু বাকের জিতলেই আমি জিতে যাব।”
তবে তাঁর এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিজ দলের ভিপি প্রার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ। সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমাদের প্যানেল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ছে। মাহিন সরকার একটি সিমপ্যাথি ক্রিয়েট করার চেষ্টা করেছেন। দুর্বৃত্ত রাজনীতি থেকে মুক্ত থেকে আমরা বিজয়ী হব।”
এদিকে ছাত্রদল মনোনীত জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম অভিযোগ করেন, এনসিপি নেতারা বাগছাসের প্রার্থীদের পক্ষে ফেসবুকে প্রচার চালাচ্ছেন। তাঁর ভাষায়, “যাহা জাতীয় নাগরিক পার্টি, তাহাই বাগছাস। শিক্ষার্থীরা প্রতারণার জবাব ব্যালটে দেবে।”
শুক্রবার ক্যাম্পাস ছুটি থাকায় বিভিন্ন হলে জুমার নামাজ শেষে প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশ নেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ নিজ নিজ হলে প্রচার চালান।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যসহ অন্যান্য প্যানেলও হলে হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা রোকেয়া হলে গণসংযোগ চালান।
হামিম তাঁর ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। এতে রয়েছে—
লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
‘শিক্ষক মূল্যায়ন’ পদ্ধতি
ক্যারিয়ার গাইডেন্স সেন্টার
নারী শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের সময়সীমা রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়ানো
মোট ১৭টি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছেন তিনি।