রাজধানীর সাত সরকারি কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের উদ্যোগে উদ্বেগ জানিয়েছেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বকশীবাজারে কলেজের সামনের রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে তাঁরা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারীদের উচ্চশিক্ষার পথ সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণি বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তাঁদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এ সিদ্ধান্তে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া হয়নি।
এর আগে সোমবার ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরাও সংবাদ সম্মেলনে একই আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামোয় এমন কোনো পরিবর্তন তাঁরা মেনে নেবেন না, যা উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এরও আগে গত বুধবার সাত কলেজের কয়েক শ শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সামনে মানববন্ধন করেন এবং ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
অন্যদিকে, প্রস্তাবিত কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ।
গত আগস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত কলেজকে চারটি স্কুলে ভাগ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে ইন্টার ডিসিপ্লিনারি ও হাইব্রিড ধরনের, যেখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে ও ৬০ শতাংশ অফলাইনে হবে। তবে সব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সশরীরে।
উল্লেখ্য, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ দীর্ঘদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে এগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত জানুয়ারিতে অধিভুক্তি বাতিল করে সরকার এবং নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয়।