
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে এলেও দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ অনুপস্থিত বলে অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। জোটের শীর্ষ নেতারা দাবি করেছেন, তাঁদের প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে হেনস্তা ও হামলার শিকার হচ্ছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পল্টনে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে মঞ্চের পরিচালনা পরিষদের সদস্য আকবর খান এক লিখিত বিবৃতিতে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
নেতারা বলেন,
“নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তফসিল ঘোষণা আসন্ন। আমরাও চাই নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হোক। কিন্তু নির্বাচনের জন্য যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন, তা সরকার নিশ্চিত করতে পারেনি।”
তাঁরা নির্বাচনকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোকে ইসি–র অধীনে এনে কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি জানান। একই সঙ্গে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে আস্থা ফিরিয়ে আনা,
নির্বাচনকে টাকার খেলা থেকে মুক্ত রাখা,
এবং নির্বাচনকে অতীতের স্বৈরাচারী আমলের মতো প্রশ্নবিদ্ধ না করা—এগুলো জরুরি বলেও মত দেন।
সভায় নেতারা রামগতির আলেকজান্ডার হাইস্কুলে জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রবের নির্বাচনী জনসভায় হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
তাঁরা বলেন,
“নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, সংঘাত-সহিংসতাও তত বাড়ছে। বিভিন্ন অঞ্চলে অস্ত্রবাজ ও সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বাড়ছে, যা দমন করতে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।”
নেতাদের দাবি, কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় তানিয়া রবের নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও হুমকি চলছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলেও গতকাল জনসভায় আসা–যাওয়ার পথে হামলা হয়েছে, যা তাঁরা “দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক” বলে মন্তব্য করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন—
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না,
সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার,
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল,
ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু,
জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী।