সিলেট ১৩ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৫
সিলেটের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর তামাবিলে দূর্নীতির মহোৎসব চলছে। নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে বিরাট বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিনত হচ্ছে অসাধু কর্মকর্তা ও সিএনএফ এজেন্টরা। ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা। যেন দেখার কেউ নেই!
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় পাথরবাহী প্রতি ট্রাকের কারপার্স এর বিপরিতে প্রাথমিকভাবে পোর্ট কর্তৃপক্ষ ৭০টাকা ও কাস্টম্স কর্তৃপক্ষ ৩শ’ টাকা হারে নিচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে কারপার্স এর বাইরে অতিরিক্ত পণ্যের ট্যাক্স বাবৎ আরও ৭৯০টাকা হারে সিএনএফ এজেন্ট রফিক সরকার (লাইসেন্সধারী), রফিক আহমদ (লাইসেন্সধারী), সালমান হোসেন (লাইসেন্স বিহীন), মাসুম আহমদ (লাইসেন্স বিহীন) এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। পণ্য আনলোড করার পর বিধি মোতাবেক সর্বনিম্ন ৩০% খালি গাড়ী ওজন (পরিমাপ) করার বিধান রয়েছে। তামাবিল স্থলবন্দর, কাস্টম্স ও সিএনএফ যোগসাজেসে খালি গাড়ী ওজন (পরিমাপ) না করে সাড়ে ৭টন হতে ৮টনের খালি গাড়ীকে এ্যাভারেজ ৯টন ধরে ওজন নির্ণয় করছেন। যার কারণে সরকারের ব্যাপক রাজস্ব হারাচ্ছে।
ব্যবসায়িক সূত্র জানায়, প্রতিদিন তামাবিল স্থলবন্দরে অন্তত চার শতাধিক হতে সাড়ে চার শতাধিক পাথরবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। ফলশ্রুতিতে কারপার্স এর বাইরে অতিরিক্ত পণ্যের ট্যাক্স বাবৎ আরও ৯৭০ টাকা হারে ট্যাক্স আদায় করছে কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত আদয়কৃত রাজস্বের পুরোটাই রাজস্ব কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজেদের পকেটস্থ করছেন কাস্টম্স, পোর্ট ও সিএনএফ এজেন্টরা অভিযোগ ব্যবসায়িদের। এছাড়া গাড়ী প্রতি প্রাথমিক ৩৭০ টাকা হারে আদায় বাকী রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০ লক্ষ টাকা হারে মাসে ২ হতে ৩ কোটি সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে কাস্টম্স, বন্দর (পোর্ট) ও সিএনএফ এজেন্টরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তামাবিলের কয়েকজন ব্যবসায়িরা সিলেটভিউ-কে জানান, কাস্টম্স ও পোর্ট কর্তৃপক্ষ সিএনএফ এজেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে নিঃস্ব করে দিচ্ছেন। যার কারণে ইতোমধ্যে নামকরা অনেক ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
তারা বলেন, বিভাগীয় তদন্ত করলে নদীর স্বচ্ছ জলের মত বেরিয়ে আসবে তামাবিল স্থলবন্দরের রাজস্ব ফাঁকির এই মহোৎসব।
তামাবিল কাস্টম্স সুপার ইয়াকুব জাহিদ সিলেটভিউ-কে জানান, ‘৭০টাকা কিংবা ৩শ’ টাকা হারে বা পণ্যের কারপার্সের অতিরিক্ত ৯৭০ টাকা আদায়ের বিষয় তার জানা নেই। এছাড়া বন্দরে আসা প্রতিটি গাড়ী পরিমাপ করা হয়। আপনাকে যে এসব তথ্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভূয়া, ভিত্তিহীন, মিথ্যা বলে তিনি দাবী করেন।
তামাবিল পোর্টের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সিলেটভিউ-কে জানান, ‘এসব মনগড়া তথ্য দিয়ে বন্দরের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এরকম কিছু বন্দরে হচ্ছে না। গাড়ীর ওজন আমাদের নিকট সংরক্ষণ রয়েছে যাহা ব্যবসায়ী পোর্ট ও কাস্টম্স কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে হচ্ছে। প্রতিদিন গাড়ীর ওজন নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান সিলেটভিউ-কে বলেন, ‘আমার পোর্টে এরকম কিছু হচ্ছে না, তবুও খোঁজ নিচ্ছি। কাস্টম্সের বিষয়টি কাস্টম্স কমিশনার সিলেটের সাথে কথা বলেন। তারা এবিষয়ে বলতে পারবে।’
প্রধান উপদেষ্টা: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক,
উপদেষ্টা : খান সেলিম রহমান, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা, ঢাকা ।
উপদেষ্টা : মোহাম্মদ হানিফ,
প্রকাশক : মোঃ ফয়ছল কাদির,
সম্পাদক : মাছুম কাদির,
সিলেট অফিস : রংমহল টাওয়ার(৪র্থ তলা) বন্দরবাজার সিলেট,৩১০০। মোবাইল নং-০১৭১৮৬২০২৯১,
ই-মেইল : Foysolkadir503@gmail.com,
Design and developed by DHAKA-HOST-BD