
ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে আস্থার পরিবেশ নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক এবং পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত সভার পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যৌথ বাহিনীর অপারেশনের মূল লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা এবং আইনশৃঙ্খলার মাধ্যমে জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনা। বিশেষভাবে এলাকার চেকপয়েন্ট অপারেশনে গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং যেখানে অস্ত্রের আনাগোনা আছে, সেখানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
নির্বাচন কমিশনার আরও জানিয়েছেন, যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, তাদের লক্ষ্য মূলত শহর এলাকায় এবং তারা সংগঠিতভাবে টার্গেটেড কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে জনমনে শঙ্কা ছড়িয়ে দিতে পারে। কমিশন এসব চিহ্নিত করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাহিনীকে সচেতন করেছে।
তিনি বলেন, “চোরাগোপ্তা হামলা হলো হেরে যাওয়া পক্ষের একটি কৌশল। এগুলো প্রতিহত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে কেউ এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস না দেখায়।”
এতে উল্লেখ করা হয়, তফসিল ঘোষণা হওয়ার (১১ ডিসেম্বর) পর থেকে কমিশন সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছে। নির্বাচনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য কমিশন তৎপর।